• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


গাছে গাছে লিচু-মুকুলের সমারোহ, বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
গাছে গাছে লিচু-মুকুলের সমারোহ, বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা
বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত লিচুচাষিরা। ছবি : প্রতিনিধি

চারদিকে লাল, হলুদ আর সবুজের সমাহার। পলাশ, শিমুলের রক্তিম সৌন্দর্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লিচুর সোনালি মুকুল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া গ্রাম। বাগানচাষিরা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই জেল♔ার সুস্বাদু আর রসালো লিচুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।

পাবনা সদর ও 🔯ঈশ্বরদী উপজেলার বেশকিছু লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচুর বাগান। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়েছে। সেই গন্ধে পরাগায়নে ছুটে আসছে মৌমাছিরা। আশায় বুক বেঁধেছেন লিচুচাষিরা। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও ঈশ্বরদীর সিলিমপুর, সাহাপুর, রূপপুর, আওতাপাড়া, জয়নগর, চর রূপপুর, তিনগাছ🐻া, বাঁশেরবাদাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ হয়ে আসছে। এখানকার উৎপাদিত লিচু চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।

অধিকাংশ বাগানে থোকায় থোকায় বের হয়েছে লিচুর মুকুল। বর্তমানে পানি, সার, কীটনাশক স্প্রেসহ পরিচর🎶্যায় ব্যস্ত সম🐲য় কাটছে লিচুচাষিদের। গত বছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি হওয়ায় ভাল ফলন ও দাম পাওয়ার আশা তাদের।

লিচুর বাগান পরিচর্যা করছিলেন আওতাপ🦩াড়া গ্রামের লিচুচাষি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, “গত বছর দেড় বিঘা জমির লিচু গাছ থেকে লিচু বিক্রি করেছিলাম তিন লাখ টাকা। এবার যেমন মুকুল দেখছি তাতে ফলন বেশি হবে।”

আরেক চাষি ফয়েজ প্রামাণিক বলেন, “গত বছরের চেয়ে এ বছর গাছে গাছে অনেক মুকুল দেখতে পাচ্ছি। আমরাও খুব আশাবাদী যে এবার ফলন আরও ভাল হবে। গত বছরের শেষের দিকে খরায়♊ কিছুটা ক্ষতি হয়েছিল। এবার লাভবান হবো বলে আশা করছি।’

সাহাপুর গ্রামের লিচুচাষি শহিদ আলী বলেন, “লিচুর ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। এবার এখন পর্যন্ত যেমন আবহাওয়া দেখছি, তেমন যদি থাকে, 🐎বিরূপ না হয়, তাহলে বাম্পার ফলন হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এখন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।”

এবার লিচুর ভাল ফলন আশা করছে জেꦏলা কৃষি বিভাগও। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সবজি বা পেঁয়াজ ছাড়াও পাবনার লিচু সারা দেশে বিখ্যাত। এবার গাছে প্রচুর মুকুল দেখা যাচ্ছে। লিচুচাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় বেশি লাভবান হবেন চাষিরা।’

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর পাবনায় ৪ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৭৮ মেট্রিক টন। টাকার অংকে প্রায়▨ ছয়শ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

Link copied!