হরতাল ও অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যট൩ন খাতে। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে জেলার সবকটি পর্যটন ও বিনোদন ক𓂃েন্দ্র। ফাঁকা হোটেল ও মোটেলও। এতে একদিকে যেমন মৌসুম শুরুতে পর্যটক হারাতে হচ্ছে, তেমনি আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে এ খাত সংশ্লিষ্টদের।
পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে পর্যটকদের চলাচলে হরতাল অবরোধমꦐুক্ত রাখার দাবি সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের সহযোগিত♎া থাকবে বলছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
খাগড়াছড়ির সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম হাজারো। উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো অসংখ্য পাহাড়, সর্পিল রাস্তা, সবুজের সমাবেশের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার বিভিন্ন বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র। যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা বছরই পর্যটকদের বিচরণ থাকে এ জেলায়। শীতের শুরুতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ার কথা। কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে আছে জেলার রিচাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কসহ সবকটি বিনোদন কেন্দ্র। হরতাল অবরোধের কারণে বেকার সময় পার করছেন বিনোদন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকা♕রীরা।
খাগড়াছড়ি পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, পর্যটন মৌসুমে মাসে অন্তত ১৫ হাজার পꦡর্যটক ভ্রমণ করেন। টান🌊া হরতাল অবরোধের কারণে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মত লোকসান হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক মো. মনির, তপন বিকাশ চাকমা ও মো. জসিম উদ্দিন জানান, পর্যটক না আসায় চাকা ঘুরছে না কোনো পরিবহনের। পর্যটক মৌসুমে পর্যটক 🦩না থাকায় হতাꦏশ পর্যটকবাহী পরিবহন চালক-শ্রমিকরা।
অবরোধের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে দাবি ব্যবসায়ীদের। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। ক্ষতি এড়াতে পর্য𝔉টন শিল্পকে হরতাল অবরোধমুক্ত রাখার আহ্বান তাদের।
স্থানীয় আবাসিক হোট🍌েল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, জানান হরতাল অবরোধের কারণে অনেকেই বুকিং বাতিল করে 🐼দিচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, সম্মিলিতভাবে জনগণকে সচেতন করে ♔এগিয়ে এলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে♕। টহলে রয়েছেন বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।