ল𓂃ক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের কোপে নিহত হয়েছেন জেসমিন আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ।
বুধবার (১৬ অক𒁏্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ৯ ন𝔉ম্বর ওয়ার্ডের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিন ওই বাড়িꦬর মৃত আনিছ মোল্লার ছেলে হারুনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হারুনের ৪-৫টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে একটি গরু অসুস্থ। ঘটনার সময় বাইরে শব্দ হচ্ছিল। হারুন মনে করেছিল ত🦩ারﷺ গরু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে তিনি ঘরের বাইরে বের হন গরু দেখতে। এরমধ্যেই আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এসময় হারুন চিৎকার দিলে হারুনের স্ত্রী জেসমিন ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখতে পান।
একপর্যায়ে স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের কাছে অনুনয়-বিনয় কর﷽ে♎ন। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চান। এরমধ্যে হারুন দৌড়ে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে- হামলাকারীদের মধ্যে কাউকে জেসমিন চিনে ফেলেছেন। এতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারী ৭-৮ জন ছিল। হারুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হারুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই হিরনের জমি ♊সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্💦থানীয়রা হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হারুনের চাচাতো ভাই খুরশিদ আলম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতি করতে বাড়িতে ঢুকে আমার চাচাতো ভাইক🐼ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা ক𓃲রা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে কোনো কিছু লুট হয়নি।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত হারুনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নিহত জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়﷽রা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে রাখে। পরে জিজ্ঞাস🐼াবাদের জন্য আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। হিরনের সঙ্গে হারুনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ঘটতে পারে।”