পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে বসতবাড়ির আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল হামিদ (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছ🤡ে।
শনিবা𝓀র (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া নতুনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত💞 আব্দুল হামিদ ওই গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুব হোসেনের বাবা।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহ🔯িদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল হামিদসহ তার পরিবারের সদস্যর♓া রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এমন সময় আব্দুল হামিদের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এসময় আশপাশের লোকজন চিৎকার করলে আব্দুল হামিদের ছোট ভাই ফজলুল হক ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বড় ভাইয়ের ঘরে আগুন জ্বলছে।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টায় রাত ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে পার্শ্ববর্তী উপজেলা চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি🐠র ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে ওই পরিবারের সবাই দ্রুত ঘর থেকে বের হতে পারলেও প্যারালাইসিসে আক্রান্ত আব্দুল হাম🌼িদ আর ঘর থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ঘরেই তিনি দগ্ধ হয়ে মারা যান। পরের স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ও নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে কৃষকদল নেতা মাহবুব হোসেন জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড ছিলেন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারতেন না। আগুনের খবরে সবাই বের হতꦆে পারলেও তিনি বের হতে পারেননি। যার কারণে ঘুমানো অবস্থাতেই তিনি আগুনে দগ্ধ হয়👍ে মারা যান।
চাটমোহর ফায়ার সার্♔ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে আমাদের গাড়ি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। তবে আমরা হেটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। লাশ উদ্ধার করার পর সব কাজ শেষে আমরা ফিরে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।”
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানাতে পেরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলꩵিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুনে একজনের মূত্যুসহ আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ম🌄রদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।