বিয়ের পর স্বামীর কাছে একটি আঙুর ফল গাছের চারা এনে দেওয়ার বায়না ধরেছিলেন স্ত্রী আসমা বেগম। স্ত্রীর শখ পূরণ করতে ট্রাকচালক স্বামী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত খুঁজে দিনাজপুর থেকে আ𓂃ঙুর ফলের এক🍌টি চারা এনে দেন। সেই চারা রোপণের পর আসমার পরিচর্যায় এখন আঙুর ফলে ছেঁয়ে গেছে পুরো বাড়ি। আঙুর ফল দিয়ে তিনি তৈরি করছেন আচারসহ অন্যান্য মুখরোচক খাবার। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর ফল চাষ করতে চান গৃহবধূ আসমা।
সম্প্রতি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের গরীবের চౠর এলাকার দর্জিকান্দি গ্রামের বাঘ বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, দর্জিকান্দি গ্রামের আমির হোসেন বাঘের সঙ্গে আসমা বেগমের বিয়ে হয় প্রায় ১০ বছর আগে। বিয়ের পর আসমা বেগম ত🔯ার স্বামী আমির হোসেনের কাছে আঙুর ফল গাছের একটি চারা এনে দেওয়ার বায়না করেন। এরপর আমির হোসেন অনেক খোঁজাখুঁজি করে ৪ বছর আগে দিনাজপুর থেকে আঙুর ফল গাছের একটি চারা ও এক বস্তা মাটি এনে দেন।
ওই মাটি ব্যবহার করে বাড়ির🐽 উঠানের এক কোনে চারাটি রোপণ করেন আসমা বেগম। 𝔍চারাটি সুন্দরভাবে পরিচর্যা করায় ২ বছর আগে প্রথম ফলন আসে। এবছর আসমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই গাছটির ডালপালা ছড়িয়ে বাড়ির পুরো উঠোন ছেঁয়ে গেছে। থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর ফল। আঙুর গাছের এমন ফলন দেখতে স্থানীয় গৃহবধূ ও বেকার যুবকরা প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
আসমা বেগমের বাড়িতে আঙুল ফল দেখতে এসেছেন তন্ময় শিং। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “চ༒রের মাটি অনেক ঊর্বর। মাটির ঊর্বরতার কারণেই এমন ফলন হয়েছে। ফলটি খেতেও বেশ ভালো। আসমা আপার কাছে গাছের কাটিং চেয়েছি, তিনি আমাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করব, তাদের পরামর্শ পেলে আঙুরফল চাষ করব।”
আঙুরফল চাষি আসমা বেগম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বিয়ের পরে স্বামীর কাছে আঙুর ফল গাছের চারা এনে দেওয়ার বায়না করেছিলাম। বিভিন্ন জেলায় খুঁজে বিয়ের কয়েক বছর পর তিনি আমাকে আঙুরের চারাটি এনে দিয়েছিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, আমি আঙুর ফল গাছ রোপণ করলে তাতে ভালো ফলন আসবে। আমার বিশ্বাসের জয় হয়েছে। অনেক যত্ন নিয়ে আঙুর গাছের চারাটি বড় করেছি। ফলনও এসেছে বে🌺শ ভালো। ফলগুলো আমি এখনো বিক্রি করিনি। আত্মীয়-স্বজন ও গরীব মানুষকে উপহার দিয়েছি। আঙুর ফলের আচারসহ বিভিন্ন▨ প্রকার মুখরোচক খাবার তৈরি করেছি। কৃষি বিভাগ আমাকে পরামর্শ সহযোগিতা করলে আমি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর ফল চাষ করব।”
আসমা বেগমের স্বামী আমির হোসেন বাঘ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “স্ত্রীর সখ পূরণ করতে বিভিন্ন জেলা খুঁজে আঙুর ফলের চারা এনে দিয়েছিলাম। সেই চারা রোপণ করার পরে ব♛াড়ির উঠানজুড়ে ফলন এসেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ পাইনি বলে, আঙুর ফল কিছুটা টক হয়েছে। তবে ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু।”
এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দর্জিকান্দি গ্রামে আসমা বেগম নামের এক গৃহবধূ আঙুরফল চাষ করেছেন। তার গাছে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। এতে বোঝা যায়, গোসাইরহাটের মাটি আঙুর ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। আসমা বেগমের চাষকৃত আঙুরফল টক হওয়ার কারণে বাজারে বিক্রি শুরু হয়নি। ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার বাগানটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তিনি সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন। পর্যবেক্ষণের পরে যদি আঙুর ফলগুলো মিষ্টি করা যায়, তাহলে অন্যান্য ♎কৃষকরাও আঙুর ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন।”