রাজশাহীর বাঘায় পুকুর পাড় থেকে আজিজুল আলম (৫০꧙) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ছেলে ছনিকে (২০) আটক করছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ মে) সকালে বাঘা উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে নিহতের ল🍰🌳াশ উদ্ধার করা হয়।
আজিজুলꦏ আলম চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্🐎রামানিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে এলাকাবাসী শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড়ে আজিজুল আলমকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলা, চোখ, শরীর এবং ꦏমুখমন্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর পুলিশ তাকে আটক করলে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর করোনার সময় তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন এবং তার দুই সন্তানসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। পরে দুই ছেলে তার হাত ও পা শিকলে বেধে ঘরে বন্দী করে রাখেন।༒ এভাবে এক মাস অতিবাহিত হলে জানালা ভেঙে পালিয়ে যান আজিজুল আলম। এরপর থেকে তিনি ভাই ও ভাতিজার বাড়িতে কখনো আমবাগান আবার কখনো মানুষের বাড়ির বারান্দায় শুয়ে রাত কাটাতেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইꦜসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে সেটা অনুসন্ধান করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ছেলে ছনিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।”