পাবনারꦛ ঈশ্বরদীর পাকশীস্থ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পদ্মা পয়েন্ট ও জেলার বেড়া উপজেলার মথুরা যমুনা নদী পয়েন্টে বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনদিন ধরে দুই পয়েন্টের পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই এমন দাবি করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা। ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিলেও পাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়েনি, স্থিতিশীল রয়েছে।
পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিডার হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম বুধবার বিকেলে জানান, গত ২৬ আগস্ট থেক♓ে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। গত দুইদিনে এখানে পানির উচ্চতার পরিম♛াণ করা হয় ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। গত ২৫ আগস্ট এ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৯৭ মিটার। অন্যদিকে বেড়ার যমুনা নদীর মথুরা পয়েন্টে পানির স্তর ৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। গত কয়েকদিনে এখানেও পানি পরিমাণ স্থির অবস্থায় রয়েছে।
হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম আরও জানান, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খোলা থাকলেও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ন🅰দীর পানি এখনো বৃদ্ধি পায়নি। তিনদিন ধরে স্থির র𝐆য়েছে। তাছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এখানে পানির উচ্চতা এক সেন্টিমিটার কম বেশ হয়েছে।
পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার জেলে কাশেম আলী বলেন, “শুনেছি ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে। এতে শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। আতঙ্কে রাতও কাটিয়েছি। কিন্তু ভোরে নদীতে মাছ ধরার 🐬নৌকা নিয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে আসলে পানি বাড়ার তেমন লক্ষণ দেখি নাই। কারণ পানি বৃদ্ধি পেলে প্রথমে আমরা বুঝতে পারি।”
ঈশ্বরদীর সাড়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, “ভারত নাকি সব গেট খুলে দিছে। তাই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। কারণ আমাদের এখানে ইতিপূর্বে বহু ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আবার নদী ভাঙনের কবলে অনেকে এখন অন্য জায়গায় চলে গেছে। যাই হোক বন্যা হওয়ার আগেই যাতে আমাদের জ♑ন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।”
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিলেও এখনো পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বাড়েনি। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৮০ মিটার। এখন পানির উচ্চতা ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। বিপৎসীমার অনেক নিচে দিয়ে পদ্মার পানি🐈 প্রবাহিত হচ্ছে।
পাবনা পানি ▨উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়া হলেও পাবনা অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই। কারণ যমুনার পানি যখন কমে, তখন পদ্মার পানি বাড়ে। তিনি বলেন, “একই সময়ে যমুনার পানি কমলে এবং পদ্মার পানি বাড়লে বন্যা হবে না। এখন যমুনার পানি দ্রুত কমছে। সুতরাং বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আমাদের বিশ্বাস। যদি কোনো কিছু হয়, সেটা প্রকৃতির বিষয়।”
মোশারফ হোসেন আরও বলেন, ফারাক্কার গেট আগে থেকেই খোলা ছিল। এখন শুনছি সবকটি গেট খোলা হয়েছে। পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৮০ মিটার। আর সোমবার ও মঙ্গলবারের পরিমাপে পানি ছিল ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যদি বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৮০ অতিক্রম করে এবং ১৫ বা ১৬ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় তখন বাঁধের জন্য ঝুঁকি হতে পারে। তবে পাবনা জেলায় বাঁধ ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই।