কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক মাসে চার রোহ🌊িঙ্গা নেতাকে (মাঝি) খুনের বিষয়ে ফেসবুক লাইভে এসে রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মোহাম্মদ হাশিম (২০) নামের এক যুবক। তিনি নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ হাশিমের ফে𓆏সবুক লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি অস্ত্র নিয়ে ভিডিওতে এসে চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিচ্ছেন।
লাইভে মোহাম্মদ হাশিম জানান, তার মতো আরও ২৫ যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন ‘মাহাজ’। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। এ জন্য তাদের দেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা।
মোহাম্মদ হাশিম বলেন, “আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে তাদের হত্যা করা। সম্প্রতি ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এক স্বেচ্ছাসেবকক🍷ে হত্যা করেছি।”
লাইভ🧸ে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেন, “১৮নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭নং ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং অ্যাক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে হত্যা করেছি।”
একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্🌄রের নামও বলেন হাশিমꦚ।
তারা হলেন, জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া ও মৌ🦩লভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্বᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ দিতেন বলে জানান এই রোহিঙ্গা যুবক।
লাইভে মোহাম্মদ হাশিম আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এই ༺খারাপ জগ💫ৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।
এদিকে মোহাম্মদ হাশিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই ভিডিও প্রচারের প♔র থেকে ক্যাম্পে মাঝিসহ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অন༺িচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মক൩র্তা জানান, ইসলামী মাহাজ নামে সংগঠনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব রকমের অপকর্ম করে থাকে। তারা ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা করবে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় ▨নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ স🦩ুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “ভিডিওটা আমরা দেখেছি। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় সব সময় প্রস্তুত। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।”