কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৮ দিন ধরে বন্ধ ছিল যাতায়াত। ফলে দ্বীপটিতে কোনো পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব না হওয়ায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়✃। ফুরিয়ে আসে চালের মজুত। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবি𝓀ক বেড়ে সাধারণের নাগলের বাইরে চলে যায়। এতে হাহাকার দেখা দেয় মানুষের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে ৯ দিন পর শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীবাহী এমভি বারো আউলিয়া জাহাজ ভেড়ে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে। এতে সেখানে ভꦅিড় জমান দ্বীপে বসবাসকারীরা। তবে সরকারি বরাদ্দের চাল জাহাজ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদে। আর দ্বীপের ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব পণ্যসামগ্রী নিয়ে যান, সেগুলো নিজেদের দোকানে নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রমতে, শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিত্যপণ্য বাদে শুধু সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণ করা হয়। তবে সে চাল পাচ্ছেন শুধু সরকারি কার্ডধারী ব্যক্তিরা। কার্ড ছাড়া কেউ চাল পাচ্ছেন না।🌠 একেকজন কার্ডধারীকে ৬৫ দিনের জন্য মোট ৫০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব চাল সবাই না পাওয়ায় দুরাবস্থা কাটছে না বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পণ্য নিয়ে গেছেন দ্বীপে সেইসব ব্যবসায়ী চড়া দামে চাল ডাল বিক্রি করছেন। অনেক🤡েই তা কিনতে পারছেন না। এতে করে দ্বীপবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে গেছে।
অনেকেই বলছেন, সরকারি বরাদ্দের পণ্য ঠিকঠাক মত🐻ো বিতরণ হচ্ছে না। অন্যদিকে, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে বেশি মুনাফার জাল পেতেছে। যে কারণে সাধার🍌ণ মানুষ সেসব পণ্য কিনতে পারছেন না।
সবচেয়ে বেশি দুর্বিষহ অবস্থা জেলেদের। একদিকে তারা মিয়ানমারের গুলিবর্ষণের ভয়ে সাগরে মাছ ধরতে নামতে পারছেন না। আবার অন্যদিকে, সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে আয়-রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন তারা। আগামী ৬৫ দিন তারা কীভাবে পার করবে🉐ন সেই দুশ♓্চিন্তায় দিশাহারা তারা।