মাদক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তিনি বলেন, “কারা এ ব্যবসা করেন, তা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। কিন্তু সবাই সবকিছু জান♑লেও আইনশৃঙ্খলা♒ রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করে না।”
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবপ্রধান এই মন্তব্য করেছেন। কাশিয়ানীর এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ব✅ৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অ🔜তিথি ছিলেন তিনি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, “পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যদি মাদক চলে যায়, তাহলে দেশ হুমকির মুখে পড়বে। ভারতীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা হলেও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন মাদক সমানে পাচার হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘অল আউ📖ট অ্যাকশনে’ যেতে হবে। গডফাদার, কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, “মাদক এখন মিয়ানমার থেকে বেশি আসছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যেকোনো মূল্যে এ রুট বন্ধ করা হবღে।”
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, “মিয়ানমারে এখন সামরিক 💜সরকার রয়েছে। তারা এখন চাচ্ছে যে যুদ্ধ বাধাতে পারলে ও (মিয়ানমারের জান্তা সরকার) সেফ (বেঁচে যাবে) হবে। কারণ ওর দেশে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে ওর দেশের আরাকান আর্মি ওর বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন ♋জায়গা দখল করছে। সরকার (মিয়ানমারের জান্তা সরকার) বাঁচার জন্য উসকানি দিচ্ছে।”
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে মহাপরিচালক বলেন, “আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ, পরিবারের পরেই আপনাদের স্থান। আপনাদেরই সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আর ছেলেমেয়েকে স্কুল–কলেজে পাঠিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। খবর রাখতে হবে মাদকের সহজলভ্যতা সন্তানটিকে শেষ 🍌করে দিচ্ছে কি না।”
এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত সংবধর্না অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-৬–এর অ𓂃ধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কে এম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার, পুলিশ সুপার (অপারেশন) কাজী মাহাবুবুল আলম প্রমুখ।