কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ডুবে গেছে বরগুনা পৌর শহরের আমতলী মফিজ উদ্দিন মাধ্য𓆏মিক বিদ্যালয়ের মাঠ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সারা দেশে রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কের মধ্যে আছে তারা।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু হওয়ায়꧒ এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় মাঠ🌟টি জলমগ্ন হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, এটি শুধু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নয় পৌর শহরের যুবকদেরও খেলাধুলার মাঠ। মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা এবং পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ🌌 করে পুকুরসহ বাড়িঘর নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
কর্দমাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে। এতে বই-খাতা ও শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড় ভিজে নোংরা হচ্ছে। মাঠে জমে থাকা কাদাপানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে পা꧙রছে না। এছাড়া স্কুলমাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি෴র শিক্ষার্থী আতিক ও সপ্তম শ্রেণির লামিয়া বলেন, “আমরা বাড়িতে বদ্ধ পরিবেশে থাকি। আবার বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণিকক্ষেও একই অবস্থা। এরই মধ্যে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক তো রয়েছেই। আমরা দ্রুত স্কুলমাঠের পানি নিষ্কাশন করে সুন্দর মাঠ চাই।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ হান্নান বলেন, “বিদ্যালয়ে ৪৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নিষ্কাশনের পথ না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠজুড়ে থই থই করে পানি। দেখি বর্ষার সময় মাঠে পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা ও মাঠে খেলাধুলা ক🌠রতে পারছে না। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়ে𝔍ছে।”
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুসরাত লিমু বলেন, “মাঠ একটু নিচু হাওয়ায় বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। দ্রুত মাঠে মাটি ভরাট 💦না করলে স্কুল চালা🐼নো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মাঠে যেন দ্রুত মাটি ভরাট করা হয় এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্ম🐭াদ আশরাফুল আলম বলেন, “স্কুলটি পরিদর্শন করে শিক্ষক ও কমিটির সঙ্গে বসে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।”