• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নৌকায় ইলিশের রমরমা বেচাকেনা


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:১৫ এএম
নৌকায় ইলিশের রমরমা বেচাকেনা

মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাไজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তবে এ নিষেধাজ্ঞা মানছে না অসাধু জেলেরা। নিষিদ্ধ এই সময়টাকে এখানকার জেলেরা ইলিশ উৎসব মনে করে।

মুন্সীগঞ্জের পদ্মা তীরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্✱যে বসছে ইলিশ মাছ বিক্রির হাট। তাছা൩ড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মার চরগুলোতেও মিলছে ইলিশ। যদিও দাম বেশি তারপরেও দূর-দূরান্ত হতে পাইকাররা ওই সমস্ত হাটে এসে মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

পদ্মার দুর্গম চড়ে নিষিদ্ধ মা ইলিশের হাট হতে শত শত নারী-পꦍুরুষ মাছ কিনে বাড়ি ফিরছে নির্বিঘ্নে। ওই সমস্ত 🌊হাটগুলোতে প্রতিদিন চলে লাখ লাখ টাকার মা ইলিশ বেচাকেনা।  

সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বাংলাবাজার নদীর তীরে প্রতিদিন নৌকায় বসে ইলিশ বিক্রির হাট। জেলেরা পদ্মা-মেঘনা হতে মাছ ধরে নিয়ে এসে ইঞ্♌জিনচালিত নৌকায় মাছ রেখে বিক্রি করেন। প্রশাসনের লোকজনের আনাগোনার খবর পেলেই দ্রুত ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে লৌহজংয়ে পদ্মাতীরেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ। পদ্মা সেতুর উজান মাওয়ার যশলদিয়া পয়েন্টে, লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি পয়েন্টে এবং পাশের সিডারচর পয়েন্টের বিভিন্ন এলাকার নদীতে শতাধিক নৌকায় দিনরাত অবাধে মা ইলিশ নিধন চলছে। এসব ইলিশ লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার কুমারভোগ প্রজেক্ট, সিংহেরꦰহাটি, বেজগাঁও, শামুরবাড়ি ওস্তাকারপাড়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে বসে মা ইলিশ বিক্রির হাট।

গাঁওদিয়া ইউনিয়নের শামুরবাড়ি গ্রামের ওস্তাকারপাড়ায় সকাল ৬টা থেকে ৯টা, দুপুর ১২টা থেকে ২টা ও꧃ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে মা ইলিশ বেচাকেনা। এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে💙 ১৬শ টাকায়। দেড় কেজি ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার তাদের ম্যানেজ করে নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মচ্ছব।

মাওয়ার জেলে দুলাল বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ সময়ে ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ছে। আমরা গভীর রাতে মাছ ধরার জন্য নদীতে যাই আবার ভোর হলে যে সময়ে প্রশাসন নদীতে কম থাকে সে সময়ে ফিরে আসি। তারপরও প্রায়ই কোস্টগার্ড নৌ-পুলিশের হামলার শিকার হই। তবে আমাদের ইলিশ ধরার নৌকাগুলোর খুব স্পিড থাকায় এগুলো চালিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সহজেই আমরা পালিয়ে যেতে প🌳ারি।”

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ টি এম তৌফিক মাহমুদ বলেন, “আমরা মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ইলিশ মা൩ছ ধরা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরও পুরোপুরি মা ইলিশ মাছ নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা ১০ বছর যাবৎ মা ইলিশ রক্ষায় সর্বাত্মক চে🍎ষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

Link copied!