পরিবারের বড় ছেলে স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ꦛে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে ফোটাবেন হাসি। তাইতো পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্রও প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু ভাগ্যে আর সহায় হলো না তার। তার আগেই ভয়াবহ আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এতে অনেকটা স🐷্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে গেল পরিবারের আনন্দ। ঈদেও ব্যতয় ঘটেনি এমন পরিস্থিতির।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউন🌟িয়নের দেওরা গ্রামের বাসিন♕্দা মেহেদী হাসান কাজ করতেন বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফাস্টফুডের দোকানে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভবনটিতে লাগা ভয়াবহ আগুনে প্রাণ হারান তিনি। এরপর থেকে এখনো শোকের মাতম কাটেনি পরিবারের। উপার্জনকারী সন্তানকে হারিয়ে দিশাহারা পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্য♓দের সঙ্গে কথা ꦬবলে জানা যায়, মেহেদী হাসান ২০১২ মির্জাপুর কোড়ালিয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি আরফান খান মেমোরিয়ার ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় চাকরি নেন।
মেহেদীর ছোট ভাই ইসরাফিল মিয়া বলেন, “আমরা দুই ভাই একই জায়গায় কাজ করতাম। অগ্নিকাণ্ডের আগেই আমি একটি কাজে ভবনের অন্য আরেকটি ফ্লোরে ছিলাম। পরে আমি ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। গত বছর আমরা দুই ভা🅘ই বাবা মার সঙ্গে ঈদ করেছি। আর কোনোদিন ভাইয়ের সঙ্গে ঈদ করা হবে না। দুই ভাই মিলে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলাম, আর তা কোনোদিন পূরণ হবে না। জানি না এখন এ স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারব কি না। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের সহযোগিতা করা হোক।”
মেহেদীর বাবা আয়নাল হক বলেন, “ܫঅভাব অনটনের সংসার চালাতেই দুই ভাই ঢাকায় চাকরি নেয়। বড় ছেলে মেহেদীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট করার জন্য൲ কাগজপত্র রেডি করতেছিল। মেহেদী স্বপ্ন দেখত, বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবে। সবার মুখে হাসি ফোটাবে।”
আয়নাল হক বলেন, “আমর বয়স হয়ে গেছে, কিছু করতে পারি না। আমি ঋণ করেছি। বড় ছেলে ঋণের টাকা প্রতি মাসে দিত। এ টাকা এখন কে দেবে। গতবছর মেহেদী আমাদের সঙ্গে ঈদ করেছে। আর কোনোদিন আমার ছেলে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে না। এ সংসার এখন কীভাবে চলবে। কে দেখবে এ সংসার। মাথায় আর কাজ করে না। ঈদ এলেও আমাদের🤪 মাঝে আনন্দ নেই। ছেলের মা সব সময় কান্না করে। কান্না করতে করতে ছেলের মাও অসুস্থ হয়ে গেছে।”
মেহেদীর মা কল্পনা বেগম বলেন, “মেহেদী বড় ছেলে ছিল।ꦍ আমাদের সংসারে হাল ধরে সে পরিবারের সব খরচ দিত। এখন এ সংসার কে দেখবে। গতবছর এক সঙ্গে ঈদ করেছি। আমাদের জন্য কাপড় ও বাজার করে নিয়ে আসছিল। এবার আর কেউ আসবে না।” এ বলে মেহেদীর মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, “মেহেদীর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের প꧙ক্ষে থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা আরও সহযোগিতജা করার চেষ্টা করব।”
এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ মেহেদীর পরিবারকে কিছু নগদ অর্থ সহযোগিতা দিয়েছেন। তার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ারও আশ্ব🦂াস দিয়েছেন বলে জানায় পরিবার।