কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। তবে, পানি কমায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এতে হুমকিতে রয়েছে রাজারহাটের খিতাব খাঁ সরকারি প্🍸রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েক’শ প🅷রিবার।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে । গত তিন মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা। এর মধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামেই ৩০টি পরিবারের ভিটে-মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য ৪টি গ্রামসহ এর সংখ্যা ৫০ এর ওপরে। এছাড়া উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি এবং🔥 কালিরহাট গ্রামের ফসলি জমি ও গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে অব্যাহত নদী ভাঙনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের শতাধিক বসতভিটা൩সহ কালিরহাট বাজার, বুড়িরহাট বাজার, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিতাবখাঁ সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়, চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক এবং দুই ইউনিয়নের ৪টি মসজিদ ও ২টি মন্দির হুমকির মুখে পড়েছে।
খিতাবখাঁ গ্রামের গ🌌ৃহহারা আব্দুস ছাত্তার বলেন, “ত্রাণের আশা করি না। সরকারের কাছে হামার দাবী নদী ভাঙন বন্ধে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হোক।”
একই গ্রামের ভবেশ চন্দ্⛦র বলেন, “এই গ্রামের তিন থেকে চার কিলোমিটারের ম🧸ধ্যে কোনো স্কুল নাই। খিতাবখাঁ স্কুলটা নদীত গেইলে এই গ্রামের অনেক ছাওয়া-পোয়ার পড়ালেখা বন্ধ হইবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন মণ্ডল বলেন, “ভাঙন রোধে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়📖ন করা এলাকার হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি। খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে গেলে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।”