• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কেঁচো কম্পোস্ট সারের


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ১১:৪৬ এএম
দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কেঁচো কম্পোস্ট সারের

মাটির উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিন দিন কম্পোস্ট সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।  আবার অনেকেই বাড়িতে সামান্য পুঁজি নিয়েই বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে কেঁচোর বিষ্ঠা বা মলের মাধ্যমে যে জৈব সার তৈরি করা হয়, তাকেই ꦍভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো কম্পোস্ট বলা হয়। এবার দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সেই ভার্মি কম্পোস্টকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে সফল যশোরের শার্শা উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী।  

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহাম্মদ আলী তার বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত জায়গা জুড়ে প্রায় ৫০ টি রিং ও ২০ ট💖ি চারি এবং সিমেন্টের তৈরি ১০০ ফুট লম্বা হাউজ নিয়ে তৈরি করেছেন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন কেন্দ্র। প্রথমে গোবর সংরক্ষণের জন্য টিনের চালায় রাখা হয়েছে। তারপর সেই গোবর হালকা শুকিয়ে রিং বা হাউজে দিয়ে কয়েকদিন রাখার পরই তাতে কেঁচো দিয়ে ৩৫-৪০ দিনেই উৎপাদন হয় ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার।

মোহাম্মদ আলী বলেন, “রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সারের প্রয়োজনের জন্য ২০১৯ সালে স্থানীয় উপসহক🦄ারি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে মাত্র কয়েক কেজি কেঁচো নিয়ে এই প্রোজেক্টের যাত্রা শুরু করি। নিজের চেষ্টায় তিন বছরে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে এখান থেকে মাসিক প্রায় ২-৩ টনের বেশি ভার্মি কম্পোস্ট বাজারজাত করা হয়। তাছাড়া বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায়  বাজারজাতে কোনো সমস্যা হয় না।”  

তিনি আরও বলেন, “শাকসবজির ফেলে দেওয়া অংশ, পঁচা গোবর একসঙ্গে মিশিয়ে সেখানে কেঁচো ছে𒆙ড়ে দেওয়া হয়। কেঁচো সেসব ময়লা খেয়ে মলত্যাগ করে পচিয়ে ফেলে ও ব✃ংশবিস্তার করতে থাকে। কেঁচোর পঁচিয়ে ফেলা দ্রব্যই মূলত জৈব সারে পরিণত হয়। এসব সার প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। অন্যদিকে এই জৈব সার উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেঁচো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দরে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মন্ডল বলেন, “সবজি চাষে রাস𝔉ায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন সম্ভব। আগামীতে এ ধরনের উদ্যোক্তা তৈরিতে আরও নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, “ভার্মি কম্পোস্ট অর্থাৎ এ কেঁচো সারের বিশেষত্ব এটি হিউমাস সমৃদ্ধ জৈব সার। এটি মাটির উর্বরতা ও গাছের বৃদ্ধিসহ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি মাটির লবণাক্ততা কমায়। এই সার মাটির পানিಞ ধারণক্ষমতা বাড়ায় এবং এটি রাসায়নিক বিষমুক্ত। এ জৈব সার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়।” 

Link copied!