বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ছিঁড়ে যাওয়া তারে বিদ্🔯যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সানজিদা (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া বাগানবাড়ি গ্রামে এদুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সানজিদা ওই গ্র𓄧ামের মো. মনির খান ও খাদিজা দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকালে ফুপাতো বোন সাহারার সঙ্গে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত একটি ভিটায় খেলতে যায় সানজিদা। ঝড়ে বিদ্যুতের ছিঁড়ে যাওয়া তারের ওপর পা দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সানজিদা🧔। এসময় ফুফাতো বোন সাহারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে সানজিদাকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সানজিদার চাচা মো. রাকিব⛦ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন যদি ছিঁড়💟ে যাওয়া তারসমূহ ঠিক করে রাখত অথবা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখত, তাহলে আমার ভাতিজি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেত না। আমার ফুটফুটে ভাতিজি শেষ হয়ে গেল।”
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক🌌র্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এঘটনায় শিশুটির পরিবার অভিযোগ না করলে অপমৃত্যুর মামলা হ꧃বে।”
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমি𝔍তির জেনারেল ম্যানেজার মো. আলতাপ হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ছিঁড়ে যাওয়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে এক শিশু মারা গেছে, এমন একটি সংবাদ আমি একট𒅌ু আগেই জানতে পেরেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যদি বিদ্যুৎ অফিসের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে নিহতের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
