যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা। নেই🌌 বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। যে কারণে ত্রাণ বিতﷺরণেও দেখা দিয়েছে সমস্যা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকেই এ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ত্রাণ ꦚনা পেয়ে হাহাকার করছে বানভাসি মানুষ। এছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের অস🐭ুস্থ হওয়ার উপক্রম বেড়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙে পড়ে উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকার গোমতীর বাঁধ। এরপ🍸রেই অল্প সময়ে ভেসে যায় ওই এলাকার ঘরবাড়িসহ পুরো উপজেলা। এ সময় কিছু এলাকার বিদ্যুতের মিটার ডুবে যায়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল টাওয়ারগুলো।
শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারি দিয়ে টাওয়ারগুলো চালানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী টাওয়ারের ব্যাটারিতেও চার্জ না থাকায় তা বন্ধ রয়েছে। এতে কোথায় ত্রাণের দরকার বা সহযোগিতা প্রয়োজন তা বোঝা যাচ্ছে না। যে কারণে ভেঙে পড়েছেন বুড়িচং উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে ♔পড়েছে উপজেলাটি।
কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, “বৈদ্যুতিক তারের কারণে আমরা ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছিলাম না। সেগুলো আমাদের গায়ে লেগে যাচ্ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা কোনো কাজও করতে পারছি না। কোথায় সহযোগিতা দরকার বা ত্ཧরাণ দরকার আমরা তা বুঝতে পারছি না। এভাবে হুট করে একটা উপজেলার নেটওয়ার্ক ভ♐েঙে পড়বে তা কল্পনাও করিনি। এদিকে মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। অনেক এলাকায় মানুষ রাতে খাবার খায়নি। তারা খাবারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি বলছে তারা খাবার পায়নি।’
কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, “৬০টির বেশি গ্রাম পানির নিচে। বিদ্যুতের সকল মিটার পানিতে ভাসছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎসংযোগ সচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। কয়েকটা মোবাইল অপারেটর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা বলেছি, পানি কমা ছাড়া বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়। ত্রাণের নৌকাগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর দিয়ে যায়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা সাহায্যকারীদের এমন বিপদে ফেলতে পারি না। পানি কমলেই আমরা সংযোগ দিয়ে দেব।” &nbs🅘p;