• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম
টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলন

টাঙ্গাইলে চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন পাট চাষিরা। তবে সোনালি আঁশ ও রুপালি কাঠি বিক্রি করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে পাট কাটাস𓄧হ অন্যান্য প্রক্রিয়া। পাটের আশানুরূপ ফলন ও রোগবালাই কম হওয়ায় এবার অধিক লাভের আশা করছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এ বছর পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও মাটি চাষের উপযুক্ত হওয়ায় পাট চাষে সফল হয়েছেন চাষিরা। জেলার ১২টি উপজেলায় এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ৫০ হেক্টর। যা থেকে অর্জিত হয়েছে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর। পাট বেশি উৎপাদিত হয়েছে ৯৭০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুল🍬নায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্꧒ধারণ করা হয়েছে এ বছর প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার বেল।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, বাসাইল, সখীপুর ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জমি থেকে পাট কাটা কার্যক্রম। চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ব্যস্ত জমি থেকে পাট কাটায়, কেউবা ব্যস্ত পানিতে জা✤গ দেওয়ায়। আবার কেউ কেউ পাট ধৌত করতে, কেউবা আবার ব্যস্ত পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে। সব মিলিয়ে এখন গ্রামাঞ্চলে চলছে পাটের মহাযজ্ঞ। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারে পাটের দাম বেশি থাকায়  চাষিরা এবার অধিক লাভের আশা করছেন। পাটের আশ বিক্রি করে যেমন কৃষক টাকা পান তেমনি পাটের কাঠি জ্বালানী হিসেবে, ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ধীরে ধীরে আবার সোনালী আঁশের 🦂রাজত্ব ফিরে আসছে এ জেলায়।

জেলার দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগদেউলী গ্রামের পাট চাষি শাহাদৎ হোসেন বলেন, “এ বছর আমি ৩ বিঘা জ♋মিতে পাটের আবাদ করেছি। এই আবাদ করতে ও পাট জাগ দিয়ে শুকিয়ে বিক্রি করা পর্যন্ত আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আমার পাট হয়েছে ৯ মণ করে। এ বছর প্রতি মণ পাটের দাম ২৬০০-২৭০০ টাকা হিসাবে আমি তিন বিঘায় ৭২ হাজার ৯০০ টাকার পাট বিক্রি করেছি। খরচ বাদ দিয়ে আমার ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা লাভ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি অফিসার সব সময় আমাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আগামীতে আমি আরও জমিতে পাটের আবাদ বাড়াব।”

একই এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। শুরুর দিকে পানি না থাকায়💝 পাট জাগ দেওয়া খুব কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু এখন পানি আসায় পাট জাগ দেওয়া সহজ হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত কিছু পাট বিক্রি করেছি ৩ হাজার টাকা মণ𒀰 দরে। এখন দাম কিছুটা ভালো। আর ১০-১৫ দিন পর আমার পাটগুলো বিক্রির উপযোগি হবে। এ রকম দাম থাকলে আমি লাভবান হব।”

দেলদুয়ার উপজেলার সিলিমপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী মোছাব্বির হোসেন বলেন, “আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন𝓡 মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। এ বছর ২৫০০-২৭০০ টাকা মণ দরে পাট কিনছি। মণে ৫০-৬০ টাকা দরে লাভ করে বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। আমাদের এই বাজারে প্রতি শুক্রবার হাট বসে। প্রতি হাটে প্রায় ১ হ✨াজার মণ পাট ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপღপরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, “জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। পাট আবাদের সময় আমরা দেখি দেশীয় জাতের পাটের থেকে ভারতের পাটের বীজের প্রতি কৃষকের চাহিদা বেশি থাকে। বিজেআরআই-৮ যেটা রবি-১ নামে পরিচিত। আমরা এ বছর রবি-১ জাতের বীজ বেশি সরবরাহ করেছি। দেশীয় পাটের মধ্যে এ জাতটি সবচেয়ে ভালো। এই জাতটি এবার প্রণোদনা মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।“

তিনি আরও বলেন, “আমরা কৃষকদের পাট চাষে কৃষকদের প্রশিক্๊ষণ ও প্রযুক্তিগতভাবে সহযোগিতা দিয়ে জেলায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। পাটের বাজার মূল্য বেশি থাকায় পাট চাষে কৃষকরা দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাট চাষিদের সঙ্গে থেকে পাট আবাদ বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছেন।”

Link copied!