বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় জীবদ্দশায় গাছটি দেখতে ভিড় করতেন বৃক্ষপ্রেমীরাꦚ। প্রবল বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গোড়া থেকে ভেঙে পড়েছে সেই বিরল প্রজাতির ‘খিরির’ গাছটি। ভেঙে পড়ার খবর শুনে মঙ্গলবারও অনেকেই শেষবারের মতো এক নজর গাছটি দেখতে ছুটে আসেন।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের দুলশী গ্রামে গাছটির জন্ম-বেড়ে ওঠা। চলনবিলের মাঝখানের দুলশী গ্রামের একটি উঁচু মাটির ঢিবির ওপর বড় আকৃতির এই গাছটি শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্তও দাঁড়িয়ে ছিল। গোড়া থেকে ভℱাঙা অবস্থায় সকালে গাছটিকে দেꦬখা যায়।
উদ্ভিদ গবেষকরা বলছেন, বিরল এই গাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশি হবে। ভেঙে যাওয়ার আগে গাছটির উচ্চতা ৫০ ফুট এবং প্রায় ১৫০ বর্গফুট আয়তন ছিল। মধুমাসে গাছটিতে আঙুরদানার মতো ফল ধরত। ফলের স্বাদও ছিল অনেকটা ক্ষীরের মতো। এ জন্য লোকে গাছটিকে খিরির গাছ বলেন। তবে বিরল এই গাছের এখানে কোনো বংশবিস্তার হয়নি। গাছটিতে যে ফল ধরতো সেই ফলের বীজ থেকেও চারা গজায়নি।
তারা বলেন, গাছটির বংশবিস্তারের জন্য কলম করলেও নতুন🐼 ডাল হয়নি। বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের গাছটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই থেকে গাছটিকে দেখতে আসতেন দেশের নানা প্রান্তের বৃক্ষপ্রেমীরা। অনেক উদ্ভিদ গবেষকও গাছটি সম্পর্কে জানার জন্য দুলশী গ্রামে গবেষনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গাছটি পরিদর্শনে গিয়ে একটি স্মারক স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল নাটোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। সেই স্তম্ভে গাছটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৃক্ষ মানিক’। গাছটির ঘন পাতার ডালপালা আশপাশজুড়ে ছায়া দিত বলে গাছের নিচে বিশ্রাম নিতেন শ্রমজীবীরা।