ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছেই। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে জেলার অনেক নিম্নাঞ্চল। ইতিমধ্যে এসব এলাকার জমির বীজতলা ও আবাদি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ব্রহ্ম𒆙পুত্রের পানি বাড়ার কারণে চিলমারীর পাত্রখাতা, বেগমগঞ্জ, রমনা, নয়ারহাটের ১ হাজার ৮৫৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন🐭্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্র☂বাহিত হচ্ছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, “আমার ওয়ার্ডের নিচু এলাকাগুলোর মধ্যে হডিক ডোবা ও চিলকির পাড় পুরো তলিয়ে গেছে। এখানকার আমন চারাগুলো পানিতে ডুবে আছে। প্রায় ৬০-🥂৭০টা🍸 বাড়িতে পানি উঠেছে।”
সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, “পানি বাড়ার 💫কারণে আমাদের ৫ শতক জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে হু হু করে পানি বাড়ছে।”
যাত্র🅠াপুর ইউনিয়নের খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা আছমা বেগম বলেন, “হামার চরত সকাল থাকি নদীর পানি বাড়ছে। ঘরের চারপাশে পানি উঠছে, চলা-ফেরার খুব কষ্ট হয়া গেইছে।”
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কে🍨ন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এಌবং ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারের পানি অনেকটা কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।