• ঢাকা
  • বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কবরস্থান থেকে চুরি হচ্ছে মরদেহ, ঠেকাতে কবরে লোহার গ্রিল


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
কবরস্থান থেকে চুরি হচ্ছে মরদেহ, ঠেকাতে কবরে লোহার গ্রিল
কবরে লোহার গ্রিল। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

কবর থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে মরদেহ। চোর চক্রের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও শঙ্কায় থাকেন স্বজনরা। তাই স্বজনদের শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু ধরে রা♏খতে কবরের ওপর দেওয়া হয়েছে লোহার গ্রিল। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেꦬলায়।

জ🌼ানা যায়, ইসলামী রেওয়াজ অনুযায়ী মৃত্যুর পর মরদেহ দাফন হয় কবরস্থানে। কিন্তু দাফনের কিছুদিন পরই চুরি হচ্ছে সেই মরদেহ। শেরপুরের বিভিন্ন এলাকার কবর থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে পুরোনো মরদে🍎হ। চোর চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও শঙ্কা কাটছে না স্বজনদের।

পুলিশ জানায়, প্রতিটি কঙ্কাল ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মাঠ পর্যায়ের চোরেরা। তা হাতবদল হয়ে যায় মূলহোতার কাছে। তারা কেমিক্যালের সাহায্যে কঙ্কালগুলো পরিষ্কার ক🔥রে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ডাক্তারসহ বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করে থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।

সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী, পশ্🌼চিমপাড়া গ্রামসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় সরকারি কবরস্থান না থাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় স্বজনদের মরদেহ। পাহারার ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ পুরোনো কবর থেকে চুরি হচ্ছে মরদে🍸হ। তাই চুরি ঠেকাতে অধিকাংশ কবরের ওপর দেওয়া রয়েছে লোহার গ্রিল।

ꩵএ বিষয়ে স্থানীয় আরাবুল 💖শেখ ও ইন্তাজ আলী বলেন, “এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক কবরে দেওয়া হয়েছে লোহার গ্রিল। আর গত দুই বছর এই ইউনিয়ন থেকেই দেড় শতাধিক কঙ্কাল চুরি হয়েছে।”

ওই স্থানীয়রা আরও বলেন, “একটি কবর পাক൩াকরণসহ এর ওপরে গ্রিলের খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বাড়তি টাকা খরচ করতে অনেকেই হিমশিম খাচ্𒁃ছেন।”

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক হাসান আলী বলেন, “এলাকায় কেউ মারা গেলে মাইকিং করার সময়ই কবর পাকা ও রেলিং দেওয়ার জন্য লোক꧋ ঠিক করতে হয়। জানাজা শেষে কবর দেওয়া ও একই সঙ্গে গ্রিলের ব্যবস্থাও করা হয়। যদি গ্রিল না করা হয়, তাহলে কখন সেই মরদেহ চুরি হবে, এ আতঙ্কে থাকি সব সময়।”

সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল্লাহ বলেন, “গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুইটি পৃথক মামলা হয়। জেলা পুলিশের ত♕ৎপরতায় কঙ্কাল চুরির ঘটনায় নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে🥀 চার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

Link copied!