বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়াদ শেষ হওয়ার চারদিন আগে অব𒈔্যাহতি নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে লিখিতপত্র দিয়ে অব্যাহতি নেন তিনি। একই সঙ্গে প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটুকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিষয়টি ন🌟িশ্চিত করেছেন প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।
১৪ নভেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশেনের দায়িত্ব নিবে൲ন নতুন মেয়র আবুর খায়ের আব্দুল্লাহ।
এদিকে অব্যাহতি নেওয়ার পর গণসংবর্ধনার মধ্য দিয়ে নগর ভবন থেকে হেঁটে কালীবাড়ি রোড বাসভবনে ফেরেন সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময়ে নগর ভবন থেকে কালীবা▨ড়ি পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে কয়েক হাজার নগরবাসী স্লোগান, ফুল ছিটিয়ে, কান্না করে বিদায়ꩲ জানান।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, 🌠আপনারা আজকে আমাকে যে ভালোবাসা দিলেন তার ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারব না। আমার পূর্বপুরু𓂃ষ আপনর সেবায় ছিলেন। আমি মেয়র ছিলাম। আজকে সাধারণ মানুষের কাতারে চলে এলাম। আপনাদের মাঝে আমাকে আজকে যেভাবে বরণ করলেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ নগরবাসীর কাছে।
তিনি বলেন, মানুষ কাজ করলে ভুলত্রুটি হবেই। আমিও মানꦛুষ। আমি বরিশালবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার কোনো ব্যক্তি স্বার্থ ছিল না। আমি যে কাজ করেছি প্রতিটি কাজই আমি বরিশালের স্বার্থে করেছি। আমার কর্মকালের সময়ে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। বরিশালবাসীকে বারবার সেবা করার সুযোগ আমি চাই।
সাদিক আরও বলেন, জনগণ এমপি প্রার্থী হিসেবে আমাকে চাইছেন। আমরা রাজনীতি করি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আপনারা দেখেছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সামনের নির্বাচনেও তার স🐷িদ্ধান্ত চূড়ান্ত। শেষবারের মতো আমি এই কথাই বলব, মোর পরিচয় এই হোক আমি বরিশালবাসীর লোক।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে আয়োজিত সাদিক আব্দুল্লাহর জনসংবর্ಞধনা চলাকালীন পুরো নগরী যা🌞নজটের কবলে পড়েন। জেলখানার মোড় থেকে নথুল্লাবাদ, লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলী, বাংলাবাজার সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোতে অবস্থান করা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।