• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হতে হয় : রাষ্ট্রপতি


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম
বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হতে হয় : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি ম🅠ো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য আর মমতামাখা স্পর্শ কখনই ভুলে যাওয়ার নয়। একজন তরুণ ছাত্রনেতাকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হতে অনুপ্রাণিত করতে হয়, সেদি🐼ন আমি শিখেছিলাম এই মহান নেতার কাছ থেকে।”

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ সভায় প❀্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ🐲 কথা বলেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, “হেলিকপ্টারে করে যখন পাবনায় আসছিলাম তখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের স্মৃতি মানসপটে ভেসে উঠছিল। ১৯৭২ সালে পাবনায় ‘মু♑জিব বাধ’ এর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তখন আমি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। বঙ্গবন্ধুর সম্মানে আয়োজিত জনসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমার বক্তৃতার পর বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। জনসভা শেষে তিনি যখন হেলিকপ্টারে করে আꦑমাকে ঢাকায় নিয়ে গেলেন। জীবনে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারে চড়েছিলাম, তাও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে।”

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্ღদিন বলেন, “পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। পাবনার আলো-বাতাস, প্রকৃতি-পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে আমি বেড়ে উঠেছি। তাই রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেও আমি আপনাদের ছিলাম, এখনো আমি আপনাদেরই আছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাদের লোক হিসাবেই বেঁচে থাকতে চাই। বঙ্গভবনে অবস্থান করলেও পাবনার কথা মনে আসলেই আমি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি ১৯৬৭-৬৮ সালে এই কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের সহসভা𒆙পতি ও সভাপতিও হয়েছিলাম। তখন প্রতিকূল পরিবেশে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে রাজনীতি করতে হয়েছিল। রাজনীতি করার সুবাদেই আমার আদর্শ, আমার নেতা♛ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।”

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে ꧟প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। তারপর তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই।”

সো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে দুর্নীতির অভিযোগ করা তদন্তের দায়িত্ব ভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এಞটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্বব্য🎃াংকের সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।”

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, “দেশের রাষ্ট্রপতি হবো, এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির ﷺপদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়াা আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই। পাবনা জেলা ও দেশের উন্নয়নে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয়♉ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা প্রভাব থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল। মানুষের গড় আয়ু ও জীবযাত্রার মান বেড়েছে এবং বিভিন্ন উন্নয়নসূচকে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় অবস্থান করছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ও বঙ্গবন্ধু♛র আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ স❀দস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সং🐲সদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, নারী সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, নাগরিক কমিটির আহবায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, সদস্য সচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সদস্য সচিব-২ আব্দুল মতীন খান এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

এদিকে, সংবর্ধনার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের অপূর্ণ দাবি দাওয়া তুলে ধরেন বক্তারা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল পাবনার মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রুপান্তর, পাবনা-ঢ🌞াকা সরাসরি ট্রেন চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর দাবি করেন। সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি পাবনার কাজিরহাট, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া দিয়ে ওয়াই প্যাটার্ন ব্রিজ এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের🐈 দাবি তুলে ধরেন। পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস ঈশ্বরদী সুগার মিল ও বিমানবন্দর চালুসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

Link copied!