• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আশ্বাসের পর আশ্বাস, অবশেষে নিজেরাই বানালেন সেতু


নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ১০:০১ পিএম
আশ্বাসের পর আশ্বাস, অবশেষে নিজেরাই বানালেন সেতু

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পূর্বাংশ দিয়ে বয়ে গেছে চাড়াল কাঠা নদী। আর এই নদী জেলা থেকে বিভক্ত করেছে সদর উপজেলা🐎র রামনগর, জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ও খুটামারা ইউনিয়ন। এক সময় দুই পাড়ের মানুষের একমাত্র যোগাযোগের বাহন ছিল নৌকা।

নদীটির ওপরে জনপ্রতিনিধিরা বারবার সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও কাজ আর শুরু হয়নি। অবশেষে আর অপেক্ষায় না থেকে স্ཧথানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে ২৯০ ফিট কাঠের সেতু নির্মাণ করে দুই জনপদকে এক করলেন।

স্থানীয়রা জানান, শিমুলবাড়ির ঘুঘুমারী নাওঘাট এলাকায় এক🦋টি সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়িত হয়নি সেতু। দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার এলাꦕকাবাসীর উদ্যোগে সেখানে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চারাল কাঠা নদীর ঘুঘুমারী নাওঘাটে ১৯৭১ সালে একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। বন্যায় সাঁকোটি ভেঙে গেলে স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও সেখানে নির্মাণ হয়নি কোন সেতু। এতে রামনগর, শিমুলবাড়ি ও খুটামারা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে জেলা শহরে যাওয়ার জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হতো স্থানীয়দের। আর না হয় ঝুকি নিয়ে পাড় হত🐲ে হতো চারাল কাঠা নদী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, সরকারি অফিস আদালত যা🦋তায়াতে পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ছিল না কোনো ব্যবস্থা।

এলাকাবাসী জানান, নীলফামারী-৩ আসনের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য ঘুঘুমারী নাওঘাটে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সཧেখানে একাধিকবার সেতু নির্মাণের জন্য মাপ নিলেও ফল আসেনি কোনো। বর꧂্তমান সংসদ সদস্য মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল (অবঃ) বাঁশের সাঁকো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিলেও তা ছিল খুব সামান্য।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ঘুঘুমারী সোসাল ওয়েলফায়ারের উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর চাদায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রড সিমেন্টের পিলার ও কাঠ দিয়ে বানানো হয় দৃষ্টিনন্দন সেতুটি। ৫৩টি খুটির ওপড় দাঁড়ানো লাল সাদা সবুজ রং আকর্ষণীয় করে তুল𓃲েছে নাওঘাট এলাকার এই সেতুটিকে। কাঠের সেতুটি দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. মোমিনুর র🐻শিদ বলেন, 🐲“ঘুঘুমারী গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণের জন্য ২০১৮ সালের ১৬ জুন এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাত লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি করতে দুই মাস লেগেছে।”

মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা অনেক দিন ধরে সেতুর জন্য আবেদন করেছেন। পাঁচবার মাপজোখও হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন তারা চাঁদা সংগ্রহ করে এই সাঁকোটা কর♔তে পেরেছেন। কিন্তু এটা তো সমাধান না। বড় বন্যা হলে সাঁকোটা ভেঙে পড়তে পারে। তখন আবার সমস্যা🌠য় পড়তে হবে। তাই তারা চান সরকার এখানে একটা পাকা সেতু করে দিক।

আরিফুল ইসলাম বেগ নামের আরেকজন বলেন, “এখানে আমাদের পূর্ণাঙ্গ সেতু লাগবে, এটা আমাদের দাবি। সরকারের নির্দেশনা আছে গ্রামকে শহরে রুপান্তর করা হবে। কিন্তু এমন ভোগান্তিতে কীভাবে গ্রাম শহরে রুপান্তর হবে। এই চারাল কাঠা নদীতে সেতু হলে এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। এই এলাকাকে ডিজিটাল হিসেবে ঘোষণা দিতে পারব। দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হচ্ছে কিন্তু স্মার্টের পরিচয়টা কী পেলাম আমরা। এখনো যদি কাঠের সেতু ব্যবജহার করি স্মার্ট কোথা থেকে আসবে। আমরা এখানে একটা পূর্ণাঙ্গ পাকা সেতু চাই।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্গজ ঘোষ বলেন, “নীলফামারী জেলার জনগণের সুভিধার্থে বিভিন্ন স্থানে সড়ক সেতু ও অনান্য অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। বেশির ভাগ জায়গায় কাজগুলো শেষও হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যেসকল জায়গায় বাকি�𓃲� আছে সেগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে সেতু ও সড়কগুলো নির্মাণ করা হবে।”

Link copied!