সাদিকℱ অ্যাগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির আরও গরুর সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ জুলাই) দ🅘ুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোর ফার্মে 𒐪দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরআগে 🌟এদিন সকালে সাভারের ডেইরি ফার্ম এলাকায় গো-প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামারে দুর্নীতি দমন কমিশনের ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে দেখা যায়, কাপ♕ড় দিয়ে আচ্ছাদিত একটি ঘরের ভেতরে আলোচিত ছাগল-কাণ্ডের ১৫ লাখ দামের সেই ছাগল রাখা হয়েছে। এছাড়া ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াই’শ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট ও দুইটি ঘোড়াসহ কয়েক’শ হাস-মুরগি ফার্মে দেখা যায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টম থেকে জব্দ করা হয়েছে। সেগুলোকে পরে লালন পালনের জন্য সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে, তাই ওই গরুর খোঁজে আম🐽রা সাদিক অ্যাগ্রোতে এসেছি। পরে এখানে এসে একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরের কাপড়ে আচ্ছাদনের ভেতরে ১৫ লাখ টা♍কা দামের ছাগলটি দেখা গেছে।”
আবুল কালাম আজাদ আরও🌌 বলেন, “সাদিক অ্যাগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে,ꦏ যা আমরা জব্দ করেছি। এছাড়া নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জানা যায়, ২০১৬ সালে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টাღর্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। এগুলোর মধ্যে একটি গরু আকাশপথেই মারা যায়।
গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন। সেসময় সাদিক অ্যাগ্রো তিনটিඣ জাল নথি জমা দিয়েছিল। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)⛎, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।
জাল নথি দিয়ে গরু আনার ওই ঘটনꦡায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায়🍎 আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। এরকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।