উজা🅠ন থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্🐎রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুই পাড়ের মানুষ।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার 🅺রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চল𒁏গুলোর ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন ꦬবোর্ডের তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। পাশাপাশি অন্যসব নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার🔯 নয়ন মিয়া বলেন,ඣ “গতকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় নাকি বন্যা হবে, এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল এসে সাবধানে থাকতে মাইকিং করে গেছে।”
ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মেম্বার মামুনুর রশীদ বলেন, “তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমার এ🦋লাকার কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। তবে ♚এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থেমে থেমে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্র🐷বার বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক হতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়🐲া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং কুড়িগ্রাম জেলা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যেতে পারে। তবে পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”