নৌকায় নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দাদের। শনিবার (১৩ মে) 💖 দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়াবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে এগিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন কক্সবাজারের মহেশ෴খালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের 🍌বাসিন্দাদের উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে সরিয়ে এনেছেন।
ꦰশুক্রবার (১২ মে) থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে দুই হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে আনা হয়।
সোনাদিয়া থেকে সরিয়ে আনা বেশির ভাগ বাসিন্দা মহেশখালী পৌর এলাকা, বড় মহেশখালী ও কুতুবজোম ইউনিয়নে তাদের স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের উপজেলা সদরে কোনো আত্মীয় নেই, তারা কুতুবজোম ইউনি🌱য়নের আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শেখ কামাল জানান, তার এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নিচুཧ এলাকার বাসিন্দারা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ৯৬টি আশ্রয়কেন্দ⛄্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মඣকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন। তিনি বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে দুই হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সোনাদিয়া দ্বীপে অন্তত আড়াই হাজার লোক বাস করেন। ঘূর্ণিঝড়♒ ‘মোখা’ এর প্রভাবে গতকাল কক্সবাজারে প্রথমে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়। এরপর সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে তৎপর হয়ে ওঠে উপজেলা প্রশাসন। একপর্যায়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসন অতিরিক্ত বোটের ব্যবস্থা করে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি কর্মসূচির ১১ নম্বর ꦓইউনিট সোনাদিয়া দ্বীপের দলনেতা (টিম লিডার) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শুক্রবার বিকেলে ঘাটে অতিরিক্ত বোট নামানো 🦋হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।”