• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যায় মামলা, আ.লীগ নেতাসহ আসামি ৬ হাজার


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যায় মামলা, আ.লীগ নেতাসহ আসামি ৬ হাজার
হামলার পর এনায়েতপুর থানার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ১৫ পুলিশ সদস্যকে হতꦏ্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)♈ সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লꦑীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান (বাচ্চু), সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুল্লুক চাঁন, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ–ছয় হাজাಞর জনকে আসামি করা হয়েছে; ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে চার কোটি টাকা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খানের অবৈধ দাবি মেনে না নেওয়ায় পুলিশের ওপর তার ক্ষোভ ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক স্কুল শিক্ষার্থীকে উত্তক্ত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা এক আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন আহমদ মোস্তফা খান। পুলিশ ওই দাবি মেনে নেয়নি। ওই আসামিকে ছাড়াতে আহমদ মোস্তফা খানের নেতৃত্বে ৪৫০–৫০০ জন থানা ঘেরাও করেছিরেন। ꦰতখন ওসি আবদুর রাজ্জাককে অপসারণের দাবিও করেছিলেন তিনি।

এরপর ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা এনায়েতপুর থানার সামনে সমবেত হয়। এ সময় ওসি আবদুর রাজ্জাক হ্যান্ড মাইক দিয়ে সমবেত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং তাঁরা চলে যান। পরে আসামি আহমদ মোস্তফা খানের নেতৃত্বে আসামিসহ পাঁচ থেকে ছয় হাজার দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্൩ত্র নিয়ে থানায় হামলা চালায়।

তারা পুলিশের কোয়ার্টার ও ওসির বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। আসামিরা থানা কম্পাউন্ডে উপপরিদর্শক (এসআই) তহছেনুজ্জামান, সহকা♕রী উপপরিদর্শক (এএ꧂সআই) ওবায়দুর রহমান, কনস্টেবল আরিফুল আজম, রবিউল আলম শাহ, হাফিজুল ইসলাম, শাহিন, রিয়াজুল ইসলামকে পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক, এসআই আনিছুর রহমান, এসআই রহিজ উদ্দিন খান, এসআই প্রনবেশ কুমার বিশ্বাস, কনস্টেবল আবদুস সালেক, কনস্টেবল হানিফ আলী পাশে বাবু মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। আসামিরা সেখানে গিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদের হত্যা করেন। এক নারী কনস্টেবলকেও শ্লীলতাহানি করা 🍃হয়।

পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান বলেন, “৪ আগস্ট হামলায় এনায়েতপুর থানা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ১০ আগস্ট থানায় আবার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সেখানে কার্যক্রম পඣরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। পরে থানার পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে নতুন করে থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এসব কারণে পুলিশ হত্যা মামলাটি করতে কয়েক দিন দেরি হয়েছে।”

এদিকে, ৪ আগস্ট বৈষ༺ম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে এনায়েতপুরে কলেজছাꦦত্র শিহাব হোসেন (১৯) তাঁত শ্রমিক ইয়াহিয়া আলী (৩৫) ও মাদ্রাসাছাত্র সিয়াম হোসেন (২২) নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২০ ও ২১ আগস্ট এনায়েতপুর থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। তিনটি মামলায় সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মমিনসহ ২০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ৭০০ জন।

Link copied!