মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্ಞযে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১৩ জন সদস্য পালিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে তারা বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে ঠাঁই নেন। পরে তাদের বর্ডার গার্ড বাংল🀅াদেশ (বিজিবির) বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে ২৭৪ জন বাংলাদেশে অ🍃বস্থান গ্রহণ করছে। তাদের ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
বিজিবি ൩সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফু♔ল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এ🌸র আগে ১১ মার্চ নাইকꦬ্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এরও আগে ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন♐্ত বাংলাদেশে মিয়নমার থেকে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
নতুন করে কিছু মিয়ানমারের বিজিপি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ꦍেছে উল্লেখ করে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সীমান্তে যাতে কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, “বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। পাশাপাশি সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি সর্তক অবস💖্থানে আছেন।”