• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মুক্তবুদ্ধি চর্চায় ভীতি ছড়াতেই অনন্তকে হত্যা : আদালত


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম
মুক্তবুদ্ধি চর্চায় ভীতি ছড়াতেই অনন্তকে হত্যা : আদালত

স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিহত ও লেখালেখি চিরতরে স্তব্ধ করতে অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করা হয়েছে বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীলতা চর্চাকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়াই ﷽ছিল খুনিদের মূল উদ্দ🀅েশ্য বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

বꦡুধবার (৩০ মার্চ) অনন্ত বিজয় দাশ হ🌌ত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেছেন আদালত।

এর আগে দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের﷽ বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় প্রদান করেন। রায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস প্রদান করা হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজনকে ২০ হা🐻জার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখ করেন, অনন্ত বিজয় বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল চিন্তার লোক ছিলেন। তিনি ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতেন। অনন্ত বিজয় দাশের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারকে প্রতিহত করার জন্য এবং তার ܫলেখনীকে চিরতরে স্তব্ধ করার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা ও বিভৎসতা দ্বারা যে সব লেখক মুক্তবুদ্ধি, প্রগতিশীলতা, বিজ্ঞান ও সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার বিষয়ে লেখেন বা বক্তব্য রাখেন, তাদের মধ্যে ভীতি ও শঙ্কা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল মূল উদ্দ🐼েশ্য।

আদালত আরও বলেন, জনমনে ভীতির সঞ্চার করে এবং জননিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে ভিকটিমকে হত্যা করে এই আসামিগণ গর্হিত অপরাধ করেছেন। যা বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে অনুজ্জ্বল করেছে। ফলে এই আসামিগণ দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে আদালতের কোনো অনুকম্পা পেতে হকদার নয়। বরং এই আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দি♏লে অন্যান্য সন্ত্রাসী জঙ্গি উগ্রবাদী মতাদর্শের লোকজন এই ধরণের হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত হবে।

পর্যবক্ষণে আদালত বলেন, অনন্তকে হত্যার পরপরই টুইটারে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এই হ🗹ত্যার দায় স্♐বীকার করলেও বাংলা টিম বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ সত্ত্বার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত হয়নি।

এছাড়া মামলা থেকে শফিউর রহমান ফারাবিকে🌞 খালাস প্রদান প্রসঙ্গে আღদালত বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় ফারাবি অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন।

🅷সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মোমিনুর রহমান টিটু বলেন, ‍“মামলার রায়ে আদালত বলেছেন, হত্যাকারীরা একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী।🌳 পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা অনন্তকে হত্যা করেছে।”

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়ে দণ্ডিতরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন, খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল ℱআহমদ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের মামুনুর রশীদ ওরফে হারুন অর রশিদ ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ।

খালাস দেওয়া হয়েছে সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী স♓াফিউর রহমানকে। ফারাবী ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা🎃র দণ্ডিত আসামি।

এদিকে সম𒈔্পূরক অভিযোগপত্রে নাম আসা ছয়জনের মধ্যে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর মান্নান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বঙ্গবনꦿ্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Link copied!