বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের ব্যাটিং লাইন-আপ যেন ল্যাবরেটরি। যেই ল্যাবরেটারিতে প্রতি ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও সাকিব-হাথুরুর ল্যাবরেটরি থেকে বের হচ্ছে না গুণগত মানসম্পন্ন ব্যাটার। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলেছে। এই তিন ম্যাচে ব্যাটিং লাইন নিয়ে চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রথম ম্যাচে আফগ⛎ানিস্তানের বিপক্ষে তিনে ব্যাট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিফটি করে দলকে জয়ও এনে দেন তিনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে চারে নামানো হয় তাকে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আবারও তিন নম্বরে ফেরেন তিনি।
ব্যাট🐓িং লাইনআপে এমন অস্থিরতার কারণটা জানা নেಌই দলের সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। তবে তিনি না জানলেও ব্যাটিং লাইন আপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয় জানেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
কিউইদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে শান্তু বলেন, “এটা কোচ ও ক্যাপ্ট🌱েন বলতে পারবে। আমরা যারা ব্যাটিং করি, সবাই জানি কে কখন ব্যাটিং করবে। এর পেছনে কারণটা কোচ ও ক্যাপ্টেনই বলতে পারব𝓀ে।”
বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতা শুরুই হয় ওপেনারদের দিয়ে। অভিজ্ঞ লিটন দাসের সঙ্গে তরুন তানজিদ হাসান তামিমের ওপ🐟েনিং জুটিটি কোনোভাবেই সফলতার মুখ দেখতে পারছে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন রানে ফিরলেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। নিজের ২৯তম জন্মদিনে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে তানজিদ এখনো পায়ের তলায় মাটি খুঁজছেন। কিউইদের বিপক্ষে ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করেই আউট হন জুনিয়র তামিম।
ওপেনারদের এমন ব্যর্থতা নিয়ে টাইগার 🅘সহ-অধিনায়ক বলেন, “প্রতিদিনই তো পরিকল্পনা করা হয়, কীভাবে আমরা ভালো করতে পারি। তবে আমার কাছে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে যে, আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত। টপ অর্ডারে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। যেহেতু নতুন বল, ওটার কারণেই আমরা ওপরে ব্যাট করি, তাই এটা আমাদের দায়িত্ব। সবাই সবার রোলটা জানে, আমার মনে হয় যে, এখানে স্কিল খুব একটা ম্যাটার করে না। তাই আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত।”