একমাত্র বৃষ্টিই পারতো বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক ভারতের পরাজয় ঠেকাতে। তার লক্ষণও দেখা গিয়েছিল। শনিবার রাতেও বৃষ্টি হয়। ফলে রোববার সকালে নির্ধারিত স๊ময়ে শুরু হয়নি পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা। তবে শেষ পর্যন্ত বৃষ্ট🧜ি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
৩৬ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট জয় করেছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে ১৯৮৮ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে ক্রিকেট স্ট🦩েডিয়ামে ভারতকে ১৩৬ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে ভারতীয়দের বিপক্ষে টেস্টে ৮ সিরিজ খেলে তৃতীয় জয় পেল কিউইরা।
যখন খেলা শু𒁃রু হলো, তখন কোনো রান না হতেই কিউইদের প্রথম উইকেট পড়ে যায়। টম লাথাম আউট হন শূন্য রানে। এরপর কনওয়ে ফিরে যান দলীয় ৩৫ রানের সময়। দুটি উইকেটই নেন যশপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। তারা ২ উইকেটে ১১০ রান করে। এতে সফরকারীরা ৮ উইকেটে জিতে তিন টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
রাচিন রবীন্দ্র ৩৯ এবং উই🎶ল ইয়ং ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন। বুমরাহ ২ উইকেট পান ২৯ রানে।
বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারত প্রথম ইনিংস🍰ে ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ৪০২ রান করে সফরকারী দল নিউজিল্যান্ড। ফলে ৩৫৬ রানে এগিয়ে যায় কিউইরা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৪৬২ রান করে ভারত ১০৬ রানে এগিয়ে যায়। অবশ্য ভারত যে পজিশনে ছিল আরো অন্তত ১০০ বেশি রানে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। ঋষভ পান্ত ৯৯ আর সরফরাজ খান ১৫০ রানে ফিরে গেলে ধস নেমে আসে ভারতের ইনিংসে।
ভারত চতুর্থ দিন শনিবার খেলতে নামে ৩ উইকেটে 🉐২৩১ রান নিয়ে। রিশভ পান্ত ও সরফরাজ যোগ করেন ১৭৭ রান। সরফরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পান্তও ছুটছিলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির দিকে। ৮০ ওভার শেষে আসে নতুন বল। ভারতের ব্যা🌟টিং অর্ডারের শেষ ধসও নামে সেখান থেকেই।
৪০৮ রানের সময় সরফরাজ আউট হলে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৪৩৩ রানের সময় ব্যক্তিগ꧂ত ৯৯ রানে ফেরেন পান্ত। ম্যাট হেনরির বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন পান্ত। উইলিয়ামের খাটো লেন্থের বলে আউট হলেন লোকেশ রাহুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এক ওভার পর ফের উইলিয়ামের আঘাতে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিরেছেন হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ত﷽ার বলেই আউট হন জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই বৃষ্টির মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ বল করার পরেই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন ফিল্ড আম্পায়াররা।ဣ এরপরেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চতুর্থ দিনের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। যা শেষ পর্যন্ত পঞ্চম দিনে গড়ায়। আর সেখানেই ফলাফল আসে সফরকারীদের অনুকূলে ।