ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বে 𓃲ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো টানা দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার জন্য এক ম্যাচ নিসিদ্ধ হয়েছেন। তাই তিনি যে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে মাঠে থাকছেন না। এটা আগে থেকেই জানা ছিল সবার। তবে রোনালদো এই ম্যাচে না থাকায় নিজে একটু আফসোসে পুড়েছেন! কারণ এদিন লুক্সেমবার্গের জালে ৯ গোল দিয়েছে পর্তুগাল। অন্যদিকে পর্তুগাল এই ম্যাচেও ক্লিনশীট ধরে রে🅷খেছে। পর্তুগিজ তারকার এই দলটার বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান ভালো। তিনি লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল।
তবে রোনালদো না থাকলেও লুক্সেমবার্গকে গোলবন্যায় ভাসাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি পর্তুগালকে। গনসালো রামোস-দিয়েগো জোতারা একে একে বল জড়িয়েছেন ৯ বার। রামোস, জোতা ও ইনাসিও করেছেꦉন জোড়া গোল। আর রিকার্ডো হোর্তা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জোয়াও ফেলিক্স করেছেন ১টি করে গোল। ফার্নান্দেজ অবশ্য অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন এদিন।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই পর্তুগাল আক্রমণান্তক ভাবে খেলতে থাকে। তাদের ডেড লক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ১২ মিনিট পর্যন্ত। গনসালো ইনাসিওর গোলে ১-০ তে লিড নেয় পর্তুগাল। এর ৫ মিনিটি পর গনসালো রামোস গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর ৩৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটি করেন রামোস। রাফায়েল লিয়াওয়ের অ্যাসিস্টে𝕴 করা এই গোলও হয়েছে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে। বিরতির আগমুহূর্তে যোগ করা সময়ে করা গোলটি ছিল প্রথম গোলের পুনরাবৃত্তি। ফার্নান্দেজের ক্রসে ইনাসিওর হেডে ব্যবধান ৪-০ করে পর্তুগাল।
বিরতিরꦆ পর ৫৭ মিনিটে পর্তুগালের স্কোরলাইন হয় ৫-০ তে। দলের পঞ্চম গোলটি করেন দিয়াগো জোতা। জোতার গোলের ১০ মিনিট পর লক্ষ্যভেদ করেন হোর্তা। জোতার পাস থেকে ওয়ান টাচ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান ৬-০ করেন ক্লাব ব্রুগা তারকা। ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম গোলটি করেন জোতা। এরপর স্কোরশিটে নাম লেখান ৩ অ্যাসিস্ট করা ফার্নান্দেজও। সেটি ছিল পর্তুগালের ৮ম গোল। এটুকুতেও যেন তুষ্ট হতে পারেনি পর্তুগিজরা। ৮৮ মিনিটে ফেলিক্সের চোখধাঁধানো এক গোলে লিড ৯-০ করে তারা। শেষ পর্যন্ত এই ৯-০ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
এই জয়ে ইউরো ২০২৪–এর ব💛াছাইপর্বে অপরাজিতই থাকল পর্তুগাল। বাছাইপর্বের ৬ ম্যাচে পর্তুগাল প্রতিপক্ষের জালে গোল করেছে ২৪টি। অন্যদিকে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছে এখন পর্যন্ত। ইউরো বাছাইপর্বের ‘জে’ গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় রোনালদোরা শীর্ষে রয়েছে। তাদের ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। পর্তুগাল যে পারফরম্যান্স করছে তাদের ইউরোর টিকিট পাওয়াটা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।