যুক্তরাজ্যে নিখোঁজ হয়েছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণী সোমাইয়া বেগম। দেশটির ইয়র্কশায়🍰ার প্রদেশের এশিয়া অধ্যুষিত শহর ব্রাডফোর্ড থেকে নিখোঁজ হন তিনি। তার সন্ধানে ছয় দিন ধরে খুঁজে কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ।
গোয়েন্দারা বলছেন, তারা নিখোঁজ সোমাইয়া বেগমকে নিয়ে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। তার খোঁজে অ🍸নুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদপত্র ইয়র্কশায়ার বলছে, শনিবার ২৫ জুন বিকালে সর্বশেষ সোমাইয়াকে দেখা যায়। বিনি স্ট্রিট ও থর্নবেরি রোডের আশপাশে সেদিন দুপুরের পর শেষ দেখা মিলেছিল। সোমাইয়ার বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের দূরে থর্নবেরি রোডের একটি স্টোরেজ ইয়ার্ডের সিসিটিভির একটি ভিডিওতে এই চিত্র দেখা যায়। অ🐓নুসন্ধানে বৃহস্পতিবার বিনি স্ট্রিটের এ✤কটি বাড়িতে যান তদন্তকারী দল। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিনি স্ট্রিটের এক বাসিন্দা স্থানীয় টেলিগ্রাফ অ্যান্ড আর্গ্যুকে বলেন, “এটা সম্পূর্ণভাবে জ🥃ঘন্য। আশা করছি, তাকে নিরাপদ ও ভালোভাব𒈔ে খুঁজে পাওয়া যাবে। এতদিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি। কী ঘটতে যাচ্ছে আমরা তা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা তাদের সঙ্গে বড় হয়েছি, তার পরিবার বেশ শান্ত প্রকৃতির।”
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা প্রধান ইন্সপেক্টর মার্ক বোযܫ়েস বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে সোমাইয়াকে খুঁজে বের করার জন্য ব্র্যাডফোর্ডজুড়ে ব্যাপক পুলিশি অনুসন্ধান হয়েছে। আমরা সোমাইয়ার জন্য অত্যন্ত উদ্ℱবিগ্ন।”
তিনি আরও বলেন, “ড্রোন, ডগ স্কোয়াড থেকে শুরু করে পুরো এলাকার সিসিটিভি দেখা হচ্ছে। এমনকি সন্দেহভাজন🔯 ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের বাড়ি ঘরেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।”
বিবিসি বলছে, এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে♏ পুলিশ। দু’জন জামিনে মুক্তি পেলেও একজনকে এখনো পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সোমাইয়ার এক প্রতিবেশী বলেন, “স✤বাই বেশ উদ্বিগ্ন। আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। এটি🙈 এলাকার সবার জন্য চাপের। এই এলাকাটা সবার কাছে একটা পরিবারের মতো। সবাই সবাইকে চেনে। এটা আমাদের জন্য একটা আঘাত।”
আ💦রেক বাসিন্দা বলেন, “আমি সত্যিই আশা করি সে ঠিক আছে। আমি তার জন্য ভা𓃲লো কিছু আশা করছি।”
গোয়েন্দা প্রধ💦ান মার্ক বোয়েস বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, “নি෴খোঁজ সোমাইয়া ব্রাডফোর্ডের বারকারেন্ড এলাকা ও লিডসের বেকেড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। আমি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চাই, সোমাইয়াকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমাদের তদন্ত দ্রুত চলছে।”