বর্তমান সরকারের বাজেট বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় মন্তব্য করে দলট൲ির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বাজেট নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই লুটেরা, দুর্বৃত্তও সরকারের বাজেট মানেই টাকা🅰 লুট। আরও টাকা লুট করা।”
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ꦬষে ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়া আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। বিচারিক–সন্ত্রাসের কারণে তিনি আজ গৃহে অন্তরী꧙ণ।”
নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং সংবিধান শেষ হয়ে গেলꦑ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এর জন্য দায়ী কিন্তু বিচার বিভাগের বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এই যে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হ♉য়ে গেল, সংবিধান শেষ হয়ে গেল, এর জন্য দায়ী কিন্তু বিচার বিভাগের বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তার কারণে জাতি আজ ধ্বংসের দিকে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল, তখন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্ไমেলন করে বলেছিলেন, এই জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হল। আজ সমস্ত মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে না।”
প্রতিটি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে এবং এই পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটি খালেদা জি🌟য়া সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালে জাপান সফ🌠রকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের (অর্থায়ন) ব্যাপারে তিনি (খালেদা জিয়া) কথা বলেছিলেন। পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে হয়েছিল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি আর সেটা করতে পারেননি।’
এখন কেউ কথা বলতে সাহস পায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। একেই বলে সত্যিকারের ফ্যাসিজম। কিছুদিন আগেও অনেক শ্রদ্ধাভাজন মানুষ টক শোতে কথা বলতেন। পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। এখন কিন্তু কেউ কথা বলছেন না। এখন জীবনের🎉 নিরাপত্তাꦏ নেই।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহআইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ইকবাল হোসেন, আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।