কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত কীভাবে তা পুনরায় চালু করা যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট্) দুপুরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল মিরপুর ১০ স্টেশন, বনানীর সেতু ভবন এবং বিআরটিএ ভবন পরিদর্শন শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক এমপি, ও আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার এমপি তার সঙ্গে ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, “জনগণের কল্যাণেই মেট্রোরেলের মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সরকার গ্রহণ করেছে। কিন্তু নাগরিকের দুর্দশা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী মেট্রোরেল, সেতু ভবন ও বিআরটিএ অফিসে হামলা করে। কমিটি ধ্বংসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত মেট্রোরেল কীভাবে পুনরায় চালু করা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে।”
এ সময় সাধারণ মানুষও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কমিটি সচিব ও সভাপতির একান্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ১৯ জুলাই তারা হামলা চালিয়েছে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে। এর আগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ১৭ জুলাই বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ক⭕াজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনটি মেরমাত করতে অন্তত এক বছর সময় লেগে যাবে। অর্থাৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও এই দুটি স্টেশনের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতো হবে দীর্ঘ সময়।