এবারের ঈদযাত্রায় বেশ স্বস্ဣতিতেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ। পদ্মা সেতুর কারণে বাস♒, ট্রেন কিংবা লঞ্চ সব যানবাহনেই কমেছে যাত্রীর চাপ।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে সদরঘাটে যাত্রীদে﷽র কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। তাই সময়সূচির তোয়াক্কা না করে কোনোরকম প🍌ূর্ণ হলেই ঘাট ত্যাগ করছে লঞ্চ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৩১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আজ (শুক্রবার💯) দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১০০টির🍬 মতো লঞ্চ সদরঘাট ত্যাগ করতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগের দিন সদরঘাটের অবস্থ🍒া এমন থাকে না। এ সময়ে পন্টুনে পা ফেলার জায়গা থাকে না। সেখানে টার্মিনালের অনেক স্থানই খাঁ খাঁ করছে। অনেক লঞ্চ খালি পড়ে আছে। মূলত পদ্মা সেতু হওয়ার পর লঞ্চের যাত্রী ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। তবে বিকেলে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার (২২ এপ্রিল) কিংবা রোববার (২৩ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ✅উদযাপিত হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাস ও ট্রেনের মতো লঞ্চেও রাজধানী ছাড়ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু কিছু লঞ্চ কোনোরকম যাত্রী পূর্ণ হলেই ছেড়ে যাচ্ছে। আবার অনেক লঞ্চ যাত্রীতে পূর্ণ হলেও ছাড়ছে না। এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
টিপু-১৪ লঞ্চের ডেক যাত্রী নওয়াব আলী বলেন, “এই গরমের মধ্যে ൩সকাল থেকে লঞ্চে বসে আছি,♒ ছাড়ার নাম নাই। কখন ছাড়বে, সেটাও তারা বলছে না। আগে বললে আমরা অন্য লঞ্চে চলে যেতাম।”
আবুল কাশেম নামের আরেক যাত্রী বলেন, “লঞ্চ যাত্রীতে ভরা। কেন ছাড়ছে না জানি না। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে তো আর༒ গরমে টিকতে পারছি না।”
তবে টিপু-১৪ লঞ্চে🐬র স্টাফ মো. রাকিব বলেন, “আমাদেꦓর এখনো অনেক কেবিন খালি আছে। যাত্রী আসলে আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।”
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক মো.📖 কꦏবির হোসেন বলেন, “সকালে যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। তাই সকাল থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ৩১ টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।”
নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “লঞ𓆏্চে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন 🎃করতে গত ১৭ এপ্রিল থেকে আমরা তৎপর রয়েছি। সার্বক্ষণিক টহল দেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে না।”