খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হকের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্𒁏দোলনের সংগঠক শিক্ষার্থীরা। তাকে চাটুকার হিসেবে উল্লেখ করে তার বদলি দাবি করেন। বলেন, “আমরা আপনার মতো পুলিশ কমিশনার খুলনায় চাই না। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই। শুধু আপনি নন, ওই দিন যেসব প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন তাঁদের সবাইকে বদলি করতে হবে।”
কেএমপি সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। সভায় একই সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগের পরিণতি দেখে বিএনপি নেতাদের শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছ꧅েন। খবর প্রথম আলোর।
সভায় উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনার অন্যতম সমন্বয়ক আল মুজাহিদ আকাশ পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চান, “স্বাধীন বাংলাদেশে কেন আপনারা আমাদের ওপর গুলি চালালেন? ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি চালানোর আপনারা কে? ꦉকার নির্দেশে আপনারা আমাদের ওপর গুলি চালালেন?”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়েꦺ গেছে তখন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আশপাশ দিয়ে ঘুরেছেন। সেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি পুলিশ।” পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ করে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, “আমরা যখন অরাজনৈতিকভাবে দেশটাকে সংস্কার করছি, আপনারা তখন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এখানে কী সভা করছেন?”
শিক্ষার্থীরা বলেন, “১৬ বছর ধরে জনগণকে একত্র করে বিএন🌌পি আন্দোলন করতে পারেনি। আমরা যখন অরাজনৈতিকভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছি তখন জনগণও আমাদের সঙ্গে আসছে। আমরা আপনাদের (পুলিশের) আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার সরকারের পা চাটা রূপ দেখেছি।”
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “আপনার প্রশাসন লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসন। এ প্রশাসন যদি ভবিষ্যতে থাকে, আমরা আশঙ্কা করছি সাধারণ ছাত্রসমাজ একই ঘটনার সম্মুখীন হব। শহীদের রক্ত এখনো শুকাতে পারেনি আর একটি দল এরই মধ্যে সমাবেশ শুরু করে দিয়েܫছে। আপনারা তাঁদের সঙ্গে বসেন।”
সভায় কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক শিক্ষার্থীরা। এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীর দিনগুলো💞 আমাদের সঠিকভাবে সাজিয়ে নিতে হবে।’
সভায় পুলিশ কমিশনারের এক পা🐲শে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম (মনা), অন্য পাশে সদস্যসচিব শফিকুল আলমসহ (তুহিন) বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বসেছিলেন।
এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন শিক্ষার্থীরা। সমন্বয়ক তানভীর বলেন, ‘আপনারা এত দিন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন। এখন আরেকটাಞ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে আমাদের সঙ্গে সভা করার জন্য ডেকেছেন। আপনাদের চাটুকারিতা কমেনি। আমরা চাটুকার পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি চাই। আপনারা নিজ বিভাগের মধ্যে সংস্কার করেন। চাটুকারিতা বাদ দেন।’
