ফিলিস্তꦑিনের ওপর ইসরায়েলের নারকীয় হামলার ঘটনায় নিহতদের জন্য শনিবার (২১ অক্টোবর)𒈔 এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। দিনটি উপলক্ষে সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ের 𒅌সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫𒐪০ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দেশের প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের পর দোয়া করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “শুধু🤡 মসজিদেই না, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন, তারাও নিজ নিজ মন্দির, গির্জায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের জন্য প্রার্থনা করবেন। যেন ফিলিস্তিনিরা নিজ দেশে অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েল যেভাবে হাসপাতাল হামলা ♏করে নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, আমরা একটা নিন্দা জানিয়েছি। আমাদের কথা হচ্ছে, দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য জায়গা যেন ফেরত পান, যে জায়গাগুলো দখল করছে তাদের দিতে হবে। সেখানে শুধু মুসলমান নয়, খ্রিষ্টান, ইহুদি অনেকেই ছিল, যারা মারা গেছেন। আমি অনুরোধ করব আগামী শুক্রবার সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মসজিদে যেন জুমার পরে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ফিলিস্তিনের আ🎀জকের যে শিশু ও নারী আহত রয়েছে, তাদের জন্য ইতোমধ্যে আমি আমার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি ওষুধের ব্যবস্থা করতে। আমাদের অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কিছু শুকনো খাদ্য বা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু♌ পণ্য আমরা পাঠাবো। সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের যতটুকু সামর্থ্য থাকুক আমরা দুর্গত মানুষের পাশে আছি। ওআইসির যারা রাষ্ট্রদূত আছেন তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছি। সে⛎খানে বলেছি, সবাইকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। বারবার তাদের ওপর আঘাত হানা, এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমরা মানতে পার🅺ি না। আমরা যতটুকু পারি আমরা করব।”
হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৪ দিন ধরে বিমান হামল😼া চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত বোমাবর্ষণে ♔গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য ꧟মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “এখন পর্যন্ত গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্📖যে ১ হাজার ৬৬১টি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ১৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।”