দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লাগা আগুন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে ভবনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জ♍ানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহ👍েদ কামাল।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, ভবনটির ছয়, সাত, আট, ♑নয় তলা আগুনে পুড়ে গেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও সময় লাগবে।
ডিজি আরও জানান, আগুন নিয়🉐ন্ত্রণে তাদের ২০ ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গা সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভা🥃নোর চেষ্টা করছে।
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ছয় তলা ও সাত তলা বেশি ক্ষত𒅌িগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
ডিজি বলেন, “আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। সট স꧑ার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এবিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।”
ফায়ার সার্ভিস সূত্র অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় গতকাল দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। তাৎক্ষিণকভাবে🍰 আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
মন্ত্রিপরিষদ ♐বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন🍨্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
আগুন লাগ♌ার পর সচিবালয়ের আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) সদস্যরা রয়েছেন। তারা ফায়ার সার্ভিসকেꦆ সহায়তা করছেন। ভোরের আগ দিয়ে আগুন কিছুটা কমে আসে।