প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত💛 হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলায়ও। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ছয় তলা ও সাত তলা বেশ🤡ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
ডিজি আরও বলেন, “আগুনের উৎস ꦰএখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। সট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এবিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; স্থানী🍬য় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। আগুনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে বলে ধারণা൲ করা হচ্ছে।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গা কী করে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্🥃ন উঠেছে। কর্মকর্তারা বলছেন বলছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল। কেউ কেউ আগুন লাগার ঘটনাকে নাশকতা বলে উল্লেখ করছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের♉ তদন্ত কমিটির ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না, তদন্ত করা হচ্ছে।”
কমিটির সদস্যসংখ্যা ৫ থেকꦦে ১১ জন হতে পারে বলে🦩ও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি 🍸হয়েছে এখনো জানা যা🎉য়নি। আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।”