সুজন মোল্লা (ছদ্মনাম)। রাজধানীর একটি প্রাইভে𝓡ট কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করছেন। এ আয় দিয়েই কোনোরকমে চলে যায় তার পড়াশোনার খরচ। কিন্তু বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর রাজউকের অভিযানে তার কর্মস্থল যে রেস্তোরাঁ, সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হঠাৎ করেই কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি।
রাজধানীর উত্তরার একটি সড়কের পাশে ফুটপাতে বসে কথা হয় সুজন মোল্লার 🍬সঙ্গে। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় দু-দিন ধরে বেকার সময় পার করছেন তিনি। রেস্তোরাঁ কবে খুলবে তা-ও জানেন না। ফলে আর্থিক অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে তাকে। তিনি বলেন, “জীবন সংগ্রামের শুরুতে একটা ধাক্কা গেলাম। কয়েকদিন আগেও কর্মজীবনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতাম, আর আজ আমি এখন অনেকটাই বেকার। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকার কারণে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত আমি। কী করবো ভেবে উঠতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “ভবনে নাকি রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি নেই। তাই ম্যাজিস্ট্রেট এসে রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দিয়েছে। দোষ যদি রেস্টুরেন্ট মালিক বা ভবন কর্তৃপক্ষের হয়, তাহলে তাদের অনুমতির জন্য সময় দেওয়া উচিত। তাই বলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়ে কর্মচারীদের বেকার করে দেওয়া ঠিক না। এখন ঢাকার যতগুলো রেস্টুরেন্ট ꧙বন্ধ করে দিয়ে কর্মচারীরা বেকার হয়ে গেছে তাদের কী হবে? তারা কী করে খাবে এখ💎ন?”
কদিন পরেই পবিত্র মাহে রমজান এবং রমজান শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। রমজানকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছিলেন সুজ🙈ন মোল্লার মতো অনেকেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে রাখছেন তারা। তবে রমজানের আগে ব꧑েকার হয়ে পড়ায় মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুজন মোল্লা বলেন, “ইচ্ছে ছিল আসন্ন ঈদুল ফিতরে পরিবারকে নিজের উপার্জনের টাকায় কিছু উপহার দেবো। কিন্তু যে টাকা জমিয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট বন্ধ♏ থাকায় তা এখন ভেঙে খেতে হবে। পড়াশোনার খরচ, মেস ভাড়া, খাওয়া খরচ, নিজের পকেট খরচসহ আরও আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে গেলে জমানো টাকা অবশ্যই ভেঙে খেতে হবে।”
তিনি বলেন, “🧸বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের জন্য আমরা শোকাহত। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। অগ্নিকা♉ণ্ডের ঘটনা কেন ঘটেছে, তা তদন্ত করে বের করা উচিত। একইসঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।”
এক প্রশ্নের জবাবে সুজন মোল্লা বলেন, “রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছে। আমরা যেন কিছুদিন ধৈর্য ধরি। সবকিছু ঠিক হলে আবারও কাজে যেতে পারবো। কিন্তু꧋ কবে কখন এসব সমস্যা সমাধান হবে তা কর্তৃপক্ষ বলেননি।”