বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠ♔ন করেছে সরকার। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
🔴প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দেওয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে।
টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। আর সদস্য হিসেবে থাকবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণাꦗলয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি।
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি হবে
- বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করা।
- পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও তা দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়া।
- বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া।
- জব্দ বা উদ্ধার হওয়া সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া।
- এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আহরণ করা এবং
- পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞকে সভায় উপস্থিত হওয়াসহ বিশেষজ্ঞ মতামত বা পরামর্শ দেওয়া꧙ অনুরোধ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্স💮ℱের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন এবং বিএফআইইউ টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।