রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের চারদিন পর ওই এলাকায় বিভিন্ন আবাসিক ভ𒆙বনে গড়ে ওঠা রেস্তোরা🐈ঁয় অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। অভিযানে ওই সড়কের ‘একিউআই’ শপিং মলের বেইজমেন্টে রোস্তোরাঁ চালানোয় ‘নবাবী ভোজ’ নামে একটি খাবারের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এই অভিযান𝔍 শুরু ಌহয়। বেইলি রোডের বেশিরভাগ রোস্তরাঁর দরজা বন্ধই দেখা গেছে এদিন। অভিযানের সময় সেখানে নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁও ছিল তালাবদ্ধ।
মনির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা অভꦡিযানে এসেছি। রেস্তোরাঁয় আগুন জ্বালিয়ে খাবার রান্না করা হয়, গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে। এসব জায়গায় আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।“
নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁ কেন সিলগালা করা হল প্রশ্ন করলে ম্যাজিস্ট্রেট হাওল💦াদার বলেন, “নবাবী ভোজ রে🃏স্তোরাঁ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এজন্য সিলগালা করে দিয়েছি।"
এই সড়কের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও,ꦏ মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আসে। এই প্রেক্ষাপটে সমালোচনার মুখে রোববার থেকে রাজধানীতে অভিযানে নেমেছে রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র্যাব।
আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে, আবার কোনো ক𝔍োনো জায়গায় গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে।
সোমবার ঢাকার ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালিয়ে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয় রাজউক। আর বাণিজ্যিক অফিস করার অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ চালানোয় জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট টাওয়ার বন্ধ করে দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।