র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, “সহিংসতা ঠেকাতে র্যাব হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেন💯ি। হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও গ্যাস সেল ফায়ার করা🎃 হয়েছে।”
বুধবার💮 (২৪ জুলাই) র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলিকপ্টার না থাকলে র্যাব কীভাবে অভিযান পরিচালনা করত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অ𝓰র রশিদ🅘 বলেন, “এ ধরনের হামলা এবারই প্রথমই নয়, এর আগে অনেক সহিংসতা-নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেগুলো হেলিকপ্টার ছাড়াই মোকাবিলা করেছি। ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছিল তখন কোনো সহিংসতা ছিল না।”
ছাত্ররা প্রতিপক্ষ নয় উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “শুধু ছাত্র নয়, সাধারণ মানুষও আমাদের প্রতিপক্ষ না। আমরা তাদেরই প্রতিপক্ষ যাꦦরা হামলা করেছে; দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। সাধারণ মানুষ ও ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর তারা আর কোনো আন্দোলন করেনি।”
সহিংসতার পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, “গত ১৯ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় পরিণত হয়। শুরু হয় ধ্বংসযজ্ঞ। এই ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহಌতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানায়। পুলিশ ও তাদের স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়। উত্তরা পূর্ব থানার সামনে র্যাবের কনস্টেবল অমিত বড়ুয়াকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন সিএমএইচ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেখানে আমাদের গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাদে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নেন। আমরা তাদের হেলিকপ্টার দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি।”
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে হাইওয়ে পুলিশের অফিসে আগুন দেওয়া হয়। আমরা সেখান থেকেও পুলিশ সদস্যদের হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেছি। দুর্বৃত্তদের আগুন𓃲ে দুজন শ্রমিক সেখানে পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দিয়েছে। সেতু ভবনের ৫০টিরও বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।”
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, “🌜বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে বসিয়ে দিয়েছিল। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সরকার ও দেশকে অকার্যকর করে দিতে চেয়েছিল। যখন আমরা রাস্তা ব্যবহার করতে পারছিলাম না, তখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কাজ করেছি। আমরা চেষ্ট🍒া করেছি, যেন মানুষের জীবন বাঁচানো যায় এবং ক্ষতিটা কমানো যায়।”