দেশে রাষ্ট্রপতি ও দুই অর্থ উপদেষ্টার বাইরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট উত্থাপন করেছেন ১০ জন। এর মধ্যে একমাত্র আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০টি ব💖াজেট উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছেন। এই রেকর্ড আর কারও নেই। দেশের ইতিহাসে টানা ১০টিসহ মোট ১২টি বাজেট দিয়ে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করে গেছেন তিনি।
বা💝কি দুটি বাজেট উত্থাপন করেছেন এরশাদ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে। এর আগে কেবল আরেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানই ১২টি বাজেট ཧউত্থাপন করেছেন সংসদে। তবে টানা ১০টি বাজেট উত্থাপনের রেকর্ড রয়েছে একমাত্র আবদুল মুহিতেরই।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় সংসদ♚ে📖র ৪৮তম, নিজের ১২তম ও শেষ বাজেট উপস্থাপন করেন মুহিত।
সংসদে আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন ১৯৮২ সালের ৩০ জুন। ওই বাজেটের আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। সবশেষ ২০১৮ সালের ৭ জুন তার উত্থাপন করা ১২তম এবং🦩 দেশের ৪৮তম বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
১৯৮২ সালে ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরের জন্য প্রথম বাজেটের পর ১৯৮৩ সালে মুহিত ১৯৮৩ജ-৮৪ অর্থবছরের জন্য তার দ্বিতীয় বাজেট উত্থাপন করেন। এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ পরপর দুই দফায় শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন আওয়ামী লীগ স👍রকার ক্ষমতায় এলে দুই মেয়াদেই তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এ সময় ২০০৯ সালে ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে প্রথম বা✃জেট 🐓উত্থাপন করেন তিনি। সবশেষ ২০১৮ সালে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের মাধ্যমে সংসদে টানা ১০টি বাজেট উত্থাপনের অনন্য রেকর্ড গড়েন তিনি।
মুহিতের উত্থাপন করা প্রথম ও শেষ বাজেটের কথা আগেই বলা𝓡 হয়েছে। ১৯৮৩ উত্থাপন করা ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের জন্য তার দ্বিতীয় বাজেটের আকার ছিল ৫ হাজার ৮৯৬🐭 কোটি টাকা। তার প্রথম দুটি বাজেট ছিল এরশাদ সরকারের আমলের।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তাকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পর প্রথম যে বাজেটটি মুহিত ২০০৯ সালের ১১ জুন (৩৯তম) সংসদে উত্থাপন করেন, তার আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এই বাজেটটির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো দেশের বাজেটের আকার ছাড়িয়ে যায় ১ লাখ কোটি টাকা। এরপর তিনি ২০১৩ সালে (৪৩তম) ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি ট🔴াকার বাজেট ঘোষণা করেন।
দে𒈔শের জন্য যৌথভাবে সর্বোচ্চ এবং একটানা সর্বোচ্চ বাজেট উত্থাপনকারী সেই মানুষটি আর বেঁচে নেই। ৮৮ বছর বয়সে গত ২৯ এপ্রিল রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাত♕ালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি একাধারে ছিলেন অর্থনীতিবিদ, লেখক, রা♏জনীতিবিদ। ১৯৫২ সালে ভাষাসৈনিক হিসেবে লড়াই করেছেন বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য। তৎকালীন পাকিস্তান ও পরে স্বাধীন বাংলাদেশেও আমলা হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে।