সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দুর্ঘটনায় গত বছর সারাদেশে ৬ হাজার ৯২৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৮ হা꧅জার ৫০৫ জন। আহত হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৯ জন।
গণপরিবহনের বেপরোয়া গতি, যা🀅ত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, আইন অমান্য করাসহ বিভিন্ন কারণে এসব দুর্ঘটনℱা ঘটেছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের (ডিআরইౠউ) সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো মোজাম্মেল হক চৌধুরি। তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটন♐ার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হ🌊য়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব বলেন, “২০২৩ সালে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৩৭২ জন ও নিহত হয়েছ💖ে ৭ হাজার ৯০২ জন। এছাড়াও রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনা𒁃র মধ্যে আহত ৪৭৫ জন ও নিহত ৪৭৫ জন এবং নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় আহত ১৫২ জন ও নিহত হয়েছেন ৯১ জন। পাশাপাশি নৌ-পথের দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ১০৯ জন। সড়ক পথের দুর্ঘটনাগুলোর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৩১টি। এতে নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১৫২ জন এবং আহত ১ হাজার ৩৩৯ জন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিভাগ ভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, “সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ২০২৩ সালে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ১ হাজার ৭৩৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৭১২ জন𝓰 এবং আহত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ জন।
এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৩৩টিতে নিহত ১ হাজার ২০৫ জন ও আহত ২ হাজার ২৯৪ জন, খুলনা বিভাগে ৭৬৫টিতে নিহত ৭৬৪ জন ও আহত ১ হাজার ৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৩৮১টিতে নিহত ৩৭৯ জন ও আহত ৯৯২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১৮টিতে নিহত ৪৬৪ জ🎃ন 🌌ও আহত ৬৬৫ জন, সিলেট বিভাগে ৩৭১টিতে নিহত ৪০৩ ও আহত ৯২৬ জন রাজশাহী বিভাগে ৭৮৮টিতে নিহত ৭৯৩ জন ও আহত ১১৬৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ৫৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৬৯ জন ও আহত হয়েছেন ৮৬৮ জন।”
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি ও কম দুর্ঘটনার তারিখ উল্লেখ করে মহাসচিব আরও বলেন, “২০২৩ সালে ১৭ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বছরের এই দিনটিতে ৩৫টি সড়ক দু🌼র্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০২৩ সালের ৭ জুলাই। বছরের এ দিনে ৩০টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৯৮ জন।”
সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রায় ১৪টি সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব। এরমধ্যে রয়েছে করোনার চেয়ে ভয়াবহ মহামারি বিবেচনায় প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে। সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা ইউনিট শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহনখাতে সুশান প্রতিষ্ঠা করে অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। গণপরিবহন চালকদের পেশাদার প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ই👍ত্যাদি।
সংবাꦑদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সদস্য মো. মহসিন প্রমুখ।