২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে নোয়াখালী শহর মাইজদী। শহরের প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কই পানির নিচে। পানি ঢুকেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নাগরিকেরা। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থারℱ অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই শহরবাসীর দুর্ভোগ দেখা দেয়।
এ নিয়ে🌠 পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
এ😼দিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ২৭৬ মিলিমিটার।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানিয়ಞেছেন, এটি গত ২০ বছরের মধ্যে নোয়াখালীতে একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী নোয়াখালী আরও ২-১দিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে বিভিন্ন সরকারি অফিস। জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নিচতলা। অফিস কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। ডুবে গেছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের বাসভবনের সড়ক। এ ছাড়া পানিতে ডুবে গেছে জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়, জেলা জজ আদালত, জেলা মৎস্য অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিস। এদিকে, জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ♊ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
পৌর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, জলাবদ্ধতা নোয়াখালীবাসীর নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়ไেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই! নোয়াখালী পৌরসভা ২০০ বছরের পুরোনো। এখনও সামান্য বৃষ্টিতে এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকদের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে বাকিদের জানি কী অবস্থা!
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অতিভারি বৃষ্টিতে রীতিমতো ভ💮েসে গেছে মাইজদী শহর। ডিসি অফিস, এসপি অফিস, জজ কোর্টের সামনের সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া মাইজদীর প্রধান সড়কের টাউন হলের মোড়, জামে মসজিদের মোড়ে পানি উঠেছে। বিভিন্ন বাড়িতে পানি উঠে বাড়ির আঙিনা ডুবে আছে হাঁটু পানিতে, অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে। এ বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সড়কের আশপাশের বাসাবাড়ির আঙিনায় এখনো বৃষ্টির পানি জমে আছে।
স্থ🐻ানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান জানান, অফিস থেকে হাসপাতাল, বিপণিবিতান থেকে অলিগলি সব জায়গায় পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। যদিও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অফিসমুখী মানুষের ভিড় ছিল না। কিন্তু স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরম।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পৌর কর্তৃ🔥পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পানি চলাচলের খাল ও যে সকল নালা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে দখলদাররা সেসব উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।