• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


শেখ হাসিনার পতনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে ভারত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
শেখ হাসিনার পতনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে ভারত
প্রতীকী ছবি

প্রবল গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেখ হ🐟াসিনা দেশ ছেড়ে উড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। এ ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ বৈদেশিক নী🌟তির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে🍃। বিশেষত দেশটির প্রধান দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী ভারতের বদলে পাকিস্তান ও চীনকে সবসময় প্রাধান্য দিয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এই দুটি দলের ক্ষমতায় যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পে চীনের বিপুল পরিমাণ ঋণ সহায়তা দেশকে অবকাঠামোগতভাবে বদলে দিয়েছে। তাছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগ♋িতা খাতেও চীনের আলাদা প্রভাব আছে। চলতি বছরের মে মাসে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি জানায় তারা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া দেবে। অপরদিকে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ ছিল চীনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ।

ভারতের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিবেশী বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ভারত অনেকটা ধাক্কা খেয়♉েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর যখন ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছেন, তখন আঞ্চলিক কূটনীতি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে দেশটির সরকার। এমনিতেই সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক কূটনীতিতে ভারত নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তার ওপর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের জন্য আরেকটি ধাক্কা।

বিগত ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়লে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। পরে শ্রীলঙ্কায় চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রজেক্ট আটকে দেয়। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে শ্রীলঙ্কায় চীনের জাহাজ ভিড়তে দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানায়। এতে দুই𒀰 দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়।

সেই ঘটনার পর মোদি সরকার যখন নির্বাচনের আগে কাচাথিভু দ্বীপকে নিজেদের দাবি করে তখন সম্পর্ক আরও অবনতি হয়। অথচ ১৯৭৪ সালে ভারতের কংগ্রেস সরকার দ্বীপটি শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেয়। অন্যদিকে, মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনের আগে ভার🅷তবিরোধী ক্যাম্পেইন চালান।

নির্বাচন শেষে নিজ দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারে বাধ্📖য করেন তিনি। অথচ এসব সেনা ভারতের দেওয়া হেলিকপ্টারের রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ছিল। মুইজ্জু ভারতকে দূরে সরিয়ে চীনের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এদিকে, নেপালের কেপি শর্🏅মা ওলি আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি পূর্বে চীনপন্থি অবস্থান নিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। আর ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসিত সরকার ফিরে আসার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের সঙ্গেই যে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে এমনটি হয়। ভুটান এখনো নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারের নীলান্তি সমরনায়েকে ‘দিস উইক ইন এশিয়া’-কে বলেন, “ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলোর যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটি হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিবেশী অন্যান্য নেতাদের চেয়ে হাসিনার সঙ্গে নিঃসন্দেহ𒉰ে নয়াদিল্লির সবচেয়ে ভালো এবং দৃঢ় সম্পর্ক ছ🐓িল। হাসিনার পতনের বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়েছে, এই অঞ্চলের আঞ্চলিক সম্পর্কের বিষয়টি খারাপের দিকে যেতে পারে।”

সিঙ🌟্গাপুরের আইএসইএএস— ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে কম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে ধরেন বেশিরভাগ মানুষ। এক্ষেত্রে চীনকে এগিয়꧂ে রাখেন তারা।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!