বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারের পদত্যাগের এ⛄ক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ𓆉 থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ভারতের নয়াদিল্লি চলে যান।
তবে তার আগে বেশকিছু ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, আন্দোলনের ব্যাপকতা দেখে আগের দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে সরাসরি 💖দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে অসহযোগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে শক্তি প্র🌱য়োগের সিদ্ধান্তে তখনও অটল থাকেন।
এএফপি, এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে য𒁃খন ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কারফিউ ভেঙে স্র𓃲োতের মতো ঢাকায় ঢুকতে থাকে তখনই সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাকে পদত্যাগের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সেই সময়ের মধ্যেই শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর জন্য বিমান পাঠাতে অনুরোধ করেন🦄।
তবে শে♓খ হাসিনাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বিমান পাঠানো যাবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে ব্যাখ্যা দিয়ে জা🐻নানো হয়, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে।
পরে নয়াদিল্লি থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁক𒆙ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হত♎ে পারে। এরপরই পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পদত্যাগের পর শেখ 𝓰হাসিনা একটি ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করতে চেয়েছিলেন। তবে সে সুযোগ তাকে দেওয়া হয়নি। দুপুর আড়াইটার দিকে গণভবনের হেলিপ্যাড অবস্থান করা💮 একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে উড্ডয়ন করেন। তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
শেখ হাসিনা ও তার বোনকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উড়িয়ে নিয়ে যান বাংলাদে💟শ বিমান ব𒅌াহিনীর কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য। প্রথমে হেলিকপ্টারটি আগরতলায় নামে।
সূত্রমতে, শেখ হাসিনার ছেলে জয় থাকেন আমেরিকা। আর মেয়ে থাকেন দিল্লিতে। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লিতেই থাকতে পারেন শেখ হꦰাসিনা। আবার অন্য একটি সূত্র বলছে, তিনি লন্ডনেও যেতে পারেন। এদিকে, পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পরই গণভবন ঢুকে পড়ে হাজার হাজার জনতা।